উগ্রপন্থিদের শক্তি বৃদ্ধি ও দায়মুক্তি জোরালো হয়েছে

Slider জাতীয় টপ নিউজ

file

 

বাংলাদেশে এক মাসে কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড সহিংস উগ্রপন্থি গ্রুপগুলোর শক্তি বৃদ্ধি ও দায়মুক্তির বিষয়টি জোরালো করেছে। এলজিবিটি অধিকার কর্মী ও এ বিষয়ক প্রথম ম্যাগাজিনের সম্পাদক জুলহাজ মান্নান সহ দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। তবে সরকার এ জন্য দায়ী করছে বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে। বাংলাদেশের ওপর ‘ক্রাইসিস ওয়াচ’ নামে প্রতিবেদনে একথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। এতে গত মাসে বাংলাদেশের ভয়াবহ হামলাগুলো ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ৬ই এপ্রিল কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে আইনের ছাত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদকে। তাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। ১০ই এপ্রিল ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারদের তাদের লেখা ‘নিয়ন্ত্রিত’ করার আহ্বান জানান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন লেখার কড়া সমালোচনা করেন তিনি। ১৪ই এপ্রিল দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া লেখা অগ্রহণযোগ্য বলে এমন লেখার নিন্দা জানান। তবে তিনি বলেন, ধর্মের বিরোধিতার কারণে কাউকে হত্যা ইসলাম অনুমোদন দেয় না বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। ৭ই এপ্রিল নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২৩শে এপ্রিল কুপিয়ে হত্যা করা হয় প্রফেসর রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। এ হত্যার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট। ২৫শে এপ্রিল ঢাকায় এলজিবিটি অধিকার কর্মী ও এ সংক্রান্ত ম্যাগাজিনের সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার এক বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ জন্য সরকার দায়ী করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে। ২৬শে এপ্রিল এ হত্যার দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম। ৩০শে এপ্রিল টাঙ্গাইলে হিন্দু এক দর্জি নিখিল চন্দ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তবে ১লা মে এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ আটক করে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর এক সেক্রেটারি, বিএনপির এক নেতা ও মাদ্রাসার এক অধ্যক্ষকে। এপ্রিলের শুরুর দিকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার স্থানীয় নির্বাচনে সহিংস সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের, বিএনপির। কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মী এতে নিহত হয়েছেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিরোধীদের অবরোধ চলাকালে পেট্রোলবোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ৩০শে মার্চ। তার বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ৫ই এপ্রিল আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। ১৭ই এপ্রিল সিনিয়র এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি ও দুর্নীতির অভিযোগ তিনি ২০১৩ সাল থেকে জেলে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *