ফরিদপুরে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী খুন

Slider জাতীয় সারাদেশ

8581_thumbS_Untitled-2

ফরিদপুর শহরে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী খুন হয়েছেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।

আজ শুক্রবার ভোরে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার মিয়াপাড়া সংযোগ সড়কে দুজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত দুজন হলেন শহরের আলীপুর মহল্লার বান্ধবপল্লীর কিশোর জমাদারের ছেলে মানিক জমাদার (২৮) এবং নাটোরের চৌকিরপাড় সুইপার কলোনির সন্তোষ জমাদারের ছেলে ভরত জমাদার (২২)। মানিক ও ভরত পরস্পর আত্মীয়।

ফরিদপুর পৌরসভার পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, মানিক পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অন্যদিকে ভরত নাটোর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

মিয়াপাড়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল মিয়ার ভাষ্য, ভোর পাঁচটার দিকে নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার মিয়াপাড়া সংযোগ সড়কে দুজনের নিথর দেহ দেখতে পান। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত মানিকের বাবা কিশোর জমাদার বলেন, মানিকের শ্যালক ভরত নাটোর থেকে বেড়াতে ফরিদপুরে এসেছিলেন। তিনি ফরিদপুরে এলেই মানিককে তাঁর কাজে সাহায্য করতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁরা সড়ক ঝাড়ু দিতে বের হন। এরপর আজ তাঁদের লাশ পাওয়া গেল।

ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাতটার দিকে শহরের আলীপুর মহল্লার হরিজনদের আবাসস্থল বান্ধবপল্লীর সামনের মুজিব সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। তাঁরা সড়কের দুই পাশে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। ইট দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী। বিচারের ব্যাপারে তাঁর আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার হয়।

জেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ জমাদার প্রথম আলোকে বলেন, মানিক ও ভরতের কোনো শত্রু ছিল না। তাঁদের কে বা কারা কী কারণে হত্যা করেছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল গফফার বলেন, মানিক ও ভরতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *