ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

Slider রাজশাহী


বগুড়া জেলা প্রতিনিধি রাতের আঁধারে রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাতি করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তিন জন আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য।গত মঙ্গলবার,১৭ অক্টোবর /২০২৩ইং দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার। আটক ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর দূর্গাপুর এলাকার খোকন হোসেন (৩৫), বগুড়ার শাজাহানপুরের মোজ্জাফর হোসেন বিপুল (৩৫) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বগুড়ার সদরের শিকারপুর এলাকার নজরুল ইসলাম (৪৭)। এর মধ্যে খোকন ও বিপুল শহরের হরিগাড়ী এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।বিগত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় পথরোধ করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ডাকাতি করেন অভিযুক্তরা। ওই ঘটনায় ডাকাতির শিকারদের মধ্যে আব্দুল মালেক ১২ অক্টোবর ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার হন।জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, আব্দুল মালেক তার চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান আকিল ও আরেক ছোট ভাই মনিরকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কদমতলা এলাকায় দেখেন রাস্তার ওপর গাছের গুড়ি ফেলে রাখা ছিল। সেখানে থামতেই দুষ্কৃতিকারীরা এসে তাদের এলাপাথারিভাবে মারধর শুরু করে। এরপর ভুক্তভোগীদের কাছে থাকা নগদ এক লাখ দুই হাজার টাকা এবং প্রায় ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি স্মার্ট ফোন কেড়ে নেয় দুষ্কৃতিকারীরা।পরবর্তীতে মামলা হলে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে বলে জানান স্নিগ্ধ আখতার। তদন্তে পুলিশ খোকন নামে একজনকে সনাক্ত করতে পারে। তাকে গত সোমবার শহরের চকসূত্রাপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার তথ্য অনুযায়ী বিপুল ও পরবর্তীতে অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছে থেকে ধারালো বটি, বার্মিজ চাকু, দড়ি, হেক্সোব্লেড ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে আটক তিনজন ডাকাতির বিষয় স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, উত্তর বঙ্গের বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে পথরোধ করে ডাকাতি, ছিনতাই অপহরণ করে বেড়াতেন।আটক তিন জন আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় খোকনের নামে বগুড়া ও গাইবান্ধার বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। আর বিপুলের নামে চুরি, ডাকাতি ও হত্যাসহ ৮টি এবং নজরুলের বিরুদ্ধে চারটি মামলার সন্ধান মিলেছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরওআটক করা হবে মর্মে জানান এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *