নদী ভাঙনের কবলে পড়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে ৬ নম্বর ফেরি ঘাটসহ অনেক বসত ঘর ও দোকানপাট। এরইমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু দোকান।
পদ্মা নদীর ভাঙনে দিশেহারা স্থানীয় কৃষকরা। তারা এখন কোথায় যাবেন, কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। কার কাছে বললে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটাও জানেন না। কৃষক ওসমান ঢালী জানান, এক সপ্তাহে নদী ভাঙনে প্রায় ২০ বিঘা ফসলি জমি চলে গেছে। জমিতে ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ছিল। যেভাবে ফসলী জমি ভাঙছে তাতে বসত বাড়ি রক্ষা পাবে না বলেই শঙ্কা তার।
কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দৌলতদিয়ায় ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যে ফেরি ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কসহ আশেপাশের কয়েকটি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ফেরি ঘাটও। যে কোনো সময় ভাঙনের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ সব ঘাটগুলো। এ ছাড়া ঘাটের আশেপাশের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের তথ্য মতে, পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে গত ২০১৭ সালে ১ হাজার ৯১৫টি, ২০১৮ সালে ২ হাজার ৭০টি এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ১২০টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা ঘাটের কারিগরি সহকারী মো. মনিরুজ্জামান জানান, ৫ নম্বর ফেরি ঘাটটি পুরোটাই ভেঙে গেছে। এছাড়া ৩, ৪ ও ৬ নম্বর ফেরি ঘাটও নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন এলাকায় প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।