এক সপ্তাহে অনেক কিছু ঘটবে, অপেক্ষা করুন : ইসি আনিছুর

Slider জাতীয়


নির্বাচন কমিশনার মো: আনিছুর রহমান বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহে অনেক কিছুই ঘটবে। অপেক্ষা করুন।

বুধবার দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত তিনি জেলার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আনিছুর রহমান আরো বলেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ সকল বাহিনী মাঠে থাকবে। তারা মোবাইল পার্টি হিসেবে টহলে থাকবে। থানা পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসারসহ সবাই সামগ্রীকভাবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। যেখানে নিরাপত্তা যতটুকু দরকার ততটুকু করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ ও অপেক্ষাকৃত ভালো ভোট কেন্দ্রের তালিকা করা হয়েছে।

কমিশনার আনিছুর বলেন, ভোটে কারো কোনো চাপ নেই। ভোট আমরা ভালো বললে হবে না, বহিঃবিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ভালো ভোট না হলে দেশের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো হবে না। ভালো ভোট না হলে এমপি হলেও কিছু করতে পারবেন না। সরকার গঠন হবে। এরপর বহিঃবিশ্ব বিভিন্ন রকমের বিধিনিষেধ আরোপ করলে আমরা সুখে থাকবো না। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র আমেরিকায় পড়াশোনা করতে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৮ হাজার ছেলে-মেয়ে। তাদের ভবিষ্যত কী হবে। তাদের কারো টাকা যাবে, অথবা যাবে না। তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভোট সুষ্ঠু করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশী পর্যবেক্ষক আসছে। যারা ভিসা ছাড়া পর্যবেক্ষণে আসবে তারা এলেই আমরা ভিসা দিয়ে দেবো। দেশী অনেক পর্যবেক্ষক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। কোনো সন্দেহ নেই ভোট নিরপেক্ষ হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে জানি, শুনি। আমরা চাই সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে। এজন্য ভোটের দিন সকালবেলা কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে। গণমাধ্যম ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রস্তাবনা অনুযায়ী কিছু দুর্গম, পাহাড়ি, চরাঞ্চল, দীপাঞ্চল বাদে বাকিগুলোতে সকালে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু পরিবেশে হবে। ভোটার আনার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে। আনার দায়িত্ব কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের নয়। এটা প্রার্থী, প্রার্থীর সমর্থক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব। ভোটার যত বেশি আসবে ততবেশি অংশগ্রহণমূলক হবে। ভোটাররা যাতে অবাধ, সুষ্ঠুভাবে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *