ফাইনালে পাকিস্তান, বাদ পড়ল ভারত-আফগানিস্তান

Slider খেলা


শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। আফগানদের দেয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১৮ রানে যখন ৯ উইকেট হারিয়ে হারের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই নাসিম শাহ’র এলেন ত্রাতা হয়ে।

শেষ ওভারে যখন ১১ রানের দরকার, প্রথম বলেই লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান নাসিম। ৫ বলে যখন পাঁচ রানের প্রয়োজন তখন নাসিম শাহ যেন অধৈর্য। দ্বিতীয় বলেই একই জায়গা দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ১ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন এই চলতি এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া নাসিম।

এই জয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। আফগানদের পরাজয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বাদ পড়ল ডিসেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত।

আফগানদের দেয়া মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বাবর আজম (০) বিদায় নেন ফজল হক ফারুকির বলে এলবিডব্লু হয়ে। এরপর ফখর জামান ৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন রান আউট হয়ে।

মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও বেশীক্ষণ টিকতে দেননি রশিদ খান। মাত্র ২০ রানের মাথায় ফেরান এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। টপ অর্ডার হারিয়ে দল যখন ধুঁকছিল, তখন ৪২ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব খান।

৩০ রানের মাথায় ইফতিখারকে ফেরান ফরিদ আহমেদ, ৩৬ রানের মাথায় শাদাবকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফেরান রশদ খান।

এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ ৪, আসিফ আলি ২ ছক্কায় ১৬ রান করে আশা জাগালেও ফরিদের বলে ক্যাচ দিয়ে হতাশায় ডুবান পাকিস্তানকে। এরপর খুশদিল শাহ ১ ও হারিস রৌফের শূন্য রানে ফেরায় জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে যায় পাকিস্তানের। সেখান থেকেই নাসিম শাহ’র অতিমানবীয় দুই ছক্কায় ৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

আফগানিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফজল হক ও ফরিদ আহমেদ। ২ উইকেট নেন রশিদ খান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে পড়ে আফগান ব্যাটাররা। গ্রুপ এবং সুপার ফোরের শুরুতে আফগান ব্যাটাররা যেভাবে খেলেছে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি জাজাই-গুরবাজরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ইবরাহিম জাদরান। দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ২১ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে আসে ১৭ রান। শেষ দিকে রশিদ খানের ২চার ও ১ ছক্কায় ১৮ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১২৯ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

পাকিস্তানের পক্ষে ২ উইকেট নেন হারিস রৌফ। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *