টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

Slider খেলা


টি-টোয়েন্টির হতাশা ঝেড়ে টাইগারদের সামনে এবার ওয়ানডের চ্যালেঞ্জ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শুক্রবার (৫ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে।

ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দলে জায়গা হারালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দলে আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। এছাড়া হজ শেষে ছুটি কাটিয়ে দলে আছেন অভিজ্ঞ টাইগার সদস্য মুশফিকুর রহিমও।

টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারে টাইগার সামর্থ্য কাঁটা-কম্পাসের নিচে। তবে প্রিয় ফরম্যাট বলেই সে সমালোচনার রাশ টানতে চাইবে বাংলাদেশ। দায়িত্ব নিয়ে গত দেড় বছরে ওয়ানডে ফরম্যাটে, দলকে আমূল বদলে দিয়েছেন তামিম। তার নেতৃত্বে শেষ ৭ সিরিজে হার মাত্র নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবুও ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে বলছেন ভয়ংকর। শঙ্কিত নন উইকেট নিয়েও।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘যেগুলোতে ভুল করছিলাম তা ঠিক করা, আর কঠিন সময়তেও যে আমরা জিততে পারি তাই আমাদের পরিকল্পনা। আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে, তাদের কন্ডিশনে তারা খুব বিপজ্জনক। সাধারণত হারারে মাঠটা খুব ভালো। তবে প্রথম এক-দেড় ঘণ্টা একটু সতর্কভাবে খেলতে হবে। আর এক সাইডের মাঠটা যেহেতু ছোট, ফলে সেখানে খেলার চেষ্টা থাকবে দুই দলেরই।’

যেখানে সিনিয়রদের ফেরা বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে তামিমকে। দুই একটা স্লট বাদ দিলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল মোটামুটি তৈরি। এই সিরিজগুলোতে পূরণ করতে চান সেই অভাব।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের রোমাঞ্চকে সঙ্গী করে তেতে আছে স্বাগতিকরাও। তবে ইনজুরিতে নিয়মিত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের পরিবর্তে দায়িত্ব পাওয়া রেগিস চাকাভার কণ্ঠে ইতিবাচক ক্রিকেটের সুর।

জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রেগিস চাকাভা বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় সিরিজ। কারণ এরপরই অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ আছে আমাদের। আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চাই। তাই ফলাফল নিয়ে ভাবছি না।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এর আগের খেলা ৭৮ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৫০ বার। ২০১৪ সালের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে না হারা টাইগাররা হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সবশেষ হেরেছিল ২০১১ সালে।

বাংলাদেশের একাদশ

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ
রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), ইনোসেন্ট কাইয়া, মুসাকান্দা, ভিক্টর নাইয়াচি, সিকান্দর রাজা, রায়ান বার্ল, লুক জংউই, ওয়েসলে মেধেভেরে, রিচার্ড এনগারাভা, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও মিল্টন শুম্বা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *