প্রযুক্তিগত কারণে লন্ডনের বিখ্যাত হিথ্রো বিমানবন্দরে অন্তত ৩০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার যাত্রী। বিমানবন্দর পরিণত হয়েছে লাগেজের সমুদ্রে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের শিপুল এয়ারপোর্টে ফ্লাইট দেরি হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার (২০ জুন) হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনাল ২ ও ৩-এর ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত ১ লাখ ৬০ হাজার ফ্লাইটের ৭ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ইজিজেট নামের অন্য একটি এয়ারলাইনস।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকট কাটাতে হিথ্রো বিমানবন্দরে কিছু এয়ারলাইনস তাদের ফ্লাইটের সময়সূচি সমন্বয় করতে পারে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের যাত্রা স্থগিত করতে হবে না।
যাত্রীদের এই ভোগান্তির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে হিথ্রো কর্তৃপক্ষ। এদিকে ইজিজেট বলেছে, যাত্রীদের জন্য বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে।
নেদারল্যান্ডসের চিত্রও অনেকটা একই রকম। কর্মী স্বল্পতার কারণে দেশটির শিপুল এয়ারপোর্টে ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা জানিয়েছেন, কর্মীদের আশানুরূপ পারিশ্রমিক দিতে না পারায় অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়।