পেনাল্টি পেলে বিশ্বকাপ জিততে পারতেন মেসি!

Slider খেলা


ম্যারাডোনার হাত ধরে আর্জেন্টিনার শেষ বিশ্বকাপ সেই ১৯৮৬ সালে। এরপর বারবারই হতাশার গল্প। তবে আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ জেতার সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ ছিল ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে। মেসির নেতৃত্বে সেবার ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। তবে জার্মানির সাথে পারেননি মেসিরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ছিল গোলশূন্য। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় বদলি খেলোয়াড় গোটশের এক গোলে বিশ্বকাপ জেতে জার্মানরা।

তবে এই বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনা জিততে পারত। মেসির হাতে শোভা পেতে পারত সোনালী ট্রফি। এমনটিই জানিয়েছেন জার্মানির সাবেক তারকা ফুটবলার লোথার ম্যাথুস, যিনি জার্মানির হয়ে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে জিতেছিলেন ১৯৯০ বিশ্বকাপ।

দীর্ঘদিন পর সেই ম্যাথুস জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনারই জেতা উচিৎ ছিল (২০১৪ বিশ্বকাপ)। তার নিজের দেশ ভাগ্যবান ছিল বলেই সে বিশ্বকাপটা জিতেছে।

ইনফোবে আমেরিকার ক্রীড়া সাংবাদিক রদ্রিগো দুবেনকে দোহায় এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলো ম্যাথুস।

ম্যাচের ৫৭ মিনিটে শূন্যে ভেসে আসা নিজেদের ডি-বক্সে আসা বলকে পাঞ্চ করতে গিয়ে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইনকে হাঁটু দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন জার্মান গোলকিপার মানুয়েল নয়্যার। পেনাল্টির আবেদনে সরব হয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু সে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইতালির রেফারি নিকোলা রিজ্জোলি মেসিদের সে আবেদনে সাড়া দেননি, পেনাল্টি পায়নি আর্জেন্টিনা। এই ফাউলের কারণেই পেনাল্টি পাওয়া উচিৎ ছিল আর্জেন্টিনার, মনে করেন ম্যাথুস।

ম্যাথুসের মতে, নয়্যার ফাউল করেছিলেন হিগুয়েইনকে। এবং সে ফাউলের জন্য পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল আর্জেন্টিনার। তিনি বলেন, ‘ফাইনালে আর্জেন্টিনার জেতা উচিৎ ছিল। মানুয়েল নয়্যারের সে ফাউলে পেনাল্টি দেয়া উচিৎ ছিল রেফারির। কিন্তু আমরা ভাগ্যবান ছিলাম (যে রেফারি পেনাল্টি দেননি)। খুব বড় এক অপরাধ হয়েছিল সেদিন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। অবশ্যই, নয়্যারের কারণে সেদিন পেনাল্টি হজম করতে হতো আমাদের।’

২০১৪ বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির হা-হুতাশ সবারই জানা। এতদিন পর ম্যাথুসের কথায় নতুন করে আফসোসই করতে পারেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *