পাহাড় ধসে মায়ের মৃত্যু, বেঁচে গেল যমজ শিশু

Slider জাতীয়


চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে যমজ শিশু সন্তান রেখে মারা গেলেন শাহীনুর বেগম নামে এক নারী। এসময় শাহীনুরের বোন মাইনুরও মারা যান।

শুক্রবার (১৮ জুন) রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার এক নম্বর ঝিল বরিশালঘোনায় পাহাড়ধসে তারা মারা যান।

তাসকিয়া ও তাকিয়া নামে শাহীনুর রহমানের ফুটফুটে যমজ শিশু সন্তান রয়েছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, যমজ শিশু ছিল মা শাহীনুরের বুকে। পাহাড়ধসে মায়ের মৃত্যু হয় কিন্তু মায়ের বুকে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়। কেউ গুরুতর আহত হয়নি। পাড়া–প্রতিবেশী গিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার করেন।

আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয় তাদের মা, খালা ও নানা-নানিকে। মা ও খালাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নানা ফজলুল হক ও নানি রানু বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

যমজ শিশু আরেক খালা নার্গিস বেগমের বাসায় রয়েছে। ফিরোজশাহ কলোনির ১ নম্বর ঝিল এলাকায় তার বাসা। এর কিছু দূরে ঝিলের শেষ মাথায় থাকতেন শাহীনুরেরা। তাদের ঘরটি সেমিপাকা ছিল।

দুর্ঘটনার পর থেকে নার্গিস মা-বাবার সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন। শিশুদের দেখাশোনা করছেন নার্গিসের মেয়ে ইয়াসমিন আকতার ও আশপাশের প্রতিবেশীরা।

শুক্রবার রাতে শিশুদের বাবা জয়নাল আবেদীন ও তার আরেক ছেলে তরিকুল ইসলাম তানিম নার্গিসদের বাসায় ছিল। জানান, শাহীনুর ও মাইনুরের মরদেহ মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

ছেলেকে নিয়ে জয়নাল আবেদীন মেডিকেলে রয়েছেন। ছেলে এখনো বোঝেনি তার মা আর নেই।

জয়নাল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার ওপর খোদার গজব নেমে এসেছে। যখন বৃষ্টি পড়ে তখন তাদের বলেছিলাম ওখান থেকে চলে আসতে। আসবে বলেছিল। আমার মেয়ে দুটিকে আল্লাহ রক্ষা করেছে। ছেলেটি আমার সঙ্গে ছিল বলে বেঁচে গেছে।’

শাহীনুর ও মাইনুরের মরদেহ মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে জয়নাল আবেদীন মেডিকেলে রয়েছেন। ছেলে এখনো বোঝেনি তার মা আর নেই।

চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় শুক্রবার রাতে পৃথক দুটি পাহাড় ধসে দুই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০ জনের মতো। এদিকে প্রাথমিকভাবে নিহতদের ২৫ হাজার আর আহতদের ১৫ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *