পুতিনের সিক্রেট ফ্যামিলি,সন্তান এবং প্রেমিকা

Slider সারাবিশ্ব

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি একগুঁয়ে যোদ্ধা। কেজিবি বস থেকে উঠে এসেছেন ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে। তারপর ক্ষমতাকে অক্টোপাসের মতো আঁকড়ে ধরেছেন। কেউ পাত্তা পাচ্ছেন না তার কাছে। কোনো আন্দোলনই তাকে টলাতে পারছে না। তিনি আয়রনম্যানের মতো অটুট। অন্যদিকে তিনি একজন রহস্যপুরুষ। প্রেমিক। তাকে ঘিরে নানা আলোচনা
বিজ্ঞাপন
স্ত্রী লুদমিলার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে শোনা যায় সাবেক জিমন্যাস্ট অ্যালিনা কাবায়েভার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন প্লেবয় হিসেবে পরিচিত পুতিন। শুধু তা-ই নয়। পুতিনের আছে সিক্রেট সন্স। অর্থাৎ গোপন সন্তান। আগে শোনা গিয়েছিল এমন দুটি জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে একটি নয়, দুটি সিক্রেট সন্তান আছে তার। এসব সন্তান জন্ম দিয়েছেন সেই অ্যালিনা কাবায়েভা।

২০১৫ সালে প্রথম সন্তান জন্ম নিয়েছে। আর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সন্তান। সুইজারল্যান্ডে একটি ভিআইপি ক্লিনিকে প্রথম সন্তান জন্ম দিয়েছেন কাবায়েভা। এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে। ওই ক্লিনিকের মালিক পুতিনের এক বন্ধু। তিনি ৩০ বছর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পালিয়ে গিয়ে ওই ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। সুইজারল্যান্ডে প্রথম ছেলে জন্ম নেয়ার সময় কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। আর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয় মস্কোতে। তবে জন্মদানে সহায়তা করেন ২০১৫ সালে দায়িত্ব পালনকারী সেই একই স্পেশালিস্ট। ২০০৭ সাল থেকে কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্কের খবর চাউর হয়ে গেছে। কিন্তু রাশিয়ার নেতা পুতিন তা বেমালুম অস্বীকার করে যাচ্ছেন। ভোটারদের কাছে তার এই কথিত সিক্রেট ফ্যামিলি সম্পর্কে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার মতো গোপন করেছেন। এমনকি ওই সন্তানের জন্মের সময় তিনি সেখানে উপস্থিতও হননি। এসব দাবি করা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের পত্রিকা সোনটাগজেইতুং-এ।

এই রিপোর্টে ৭০ বছর বয়সী পুতিন ও কাবায়েভার মধ্যকার সিক্রেট ফ্যামিলির জোর গুজবকে নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়েছে কাবায়েভা জমজ সন্তানের জন্ম দেননি। তার দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নিয়েছে ২০১৯ সালে। এতে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যখন মারাত্মক ক্ষতিতে তখন রাশিয়ায় সিক্রেট ফার্স্ট লেডি হিসেবে দিন অতিবাহিত করছেন কাবায়েভা। রোববার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে সূত্র উল্লেখ করেছে যে, তিনি কাবায়েভার ব্যক্তিগত একজন বন্ধু। যে গাইনি ডাক্তার তার সন্তান জন্মদানে সহায়তা করেছিলেন, তাকেও তিনি ভালভাবে চেনেন। তিনি সোভিয়েতে জন্মগ্রহণকারী একজন ডাক্তার। তার সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক পুতিনের। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা। রাশিয়া থেকে সেখানে গিয়ে বসবাস করছেন। ওই পত্রিকা লিখেছে, আমাদের সূত্র পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছে যে, কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক আছে। তাদের দুটি ছেলে আছে। এ সব ছেলে পুতিনের। অন্য কারো সঙ্গে অ্যালিনা কাবায়েভার কোনো সম্পর্ক ছিল না। যদি অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক থাকতো তাহলে তা, তার জন্য খুবই বিপজ্জনক হতো।

যে গাইনি ডাক্তার অ্যালিনা কাবায়েভার সন্তান জন্মদানে সহায়তা করেছেন তিনি সুইজারল্যান্ডের ক্লিনিনকা স্যান্টানায় কাজ করেন। তিসিনো অঞ্চলে তার বসবাস। তিনি ইতালিয়ান ভাষায় কথা বলেন। তার ওই ক্লিনিকেই কাবায়েভা প্রথম সন্তান জন্ম দেন। পুতিনের সঙ্গে তার আস্থার এক সম্পর্ক ছিল। সূত্র বলেছে, সুইজারল্যান্ডে পুতিন-কাবায়েভার একটিমাত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছে মস্কোতে ২০১৯ সালে। এক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করেন সেই গাইনি ডাক্তার। এই সন্তান জন্ম দেয়ার আগে কাবায়েভা গোপনে বেশ কয়েকবার লুগানো সফর করেন। তাকে খুবই তুষ্ট নারী হিসেবে বর্ণনা করেছে সূত্র। তিনি একজন প্রকৃত স্পোর্টসওম্যান। সোজাসাপ্টা কথা বলেন। সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলেন মা ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে। কোনো বডিগার্ড সঙ্গে নেননি। তা সত্তে¡ও সন্তানের জন্ম দেয়ার বিষয়টি যেন মোটা কম্বল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠার আগে বেশ কয়েকবার সুইজারল্যান্ড সফর করেন কাবায়েভা।

এখন খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, কাবায়েভা ও তার সন্তানরা যুদ্ধের কারণে সুইজারল্যান্ডের একটি চমৎকার স্থানে গোপনে বসবাস করছেন। চার মাস অনুপস্থিত থাকার পর দশ দিন আগে তিনি আবার উদয় হন মস্কোতে। কিন্ত অনুপস্থিতির সময়ে তিনি কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্ন করার সাহস কোন সাংবাদিকের আছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *