গাজীপুর মহানগরে সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষগুলো ঈদ করবে কি করে!

Slider টপ নিউজ


গাজীপুর: গাজীপুর মহানগর সরকার গঠন হয় ২০১২ সালে। ২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচনে মেয়র হলেন বিরোধীদলের অধ্যাপক এম এ মান্নান। পরাজিত হলেন সরকারী দলের এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান। পাঁচ বছর মেয়াদ থাকলেও অধ্যাপক মান্নান চেয়ারে বসেছিলেন অর্ধেকের একটু বেশি সময়। কেন্দ্রীয় সরকার তার বিরোধী হওয়ায় অধ্যাপক মান্নান সরকারী দলের সাথে লিয়াজো করে মেয়াদ পূর্ণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাচে মেয়াদের অর্ধেক সময়ের পর পরই তাকে জেলে যেতে হয়। হারাতে হয় মেয়রের পদ। মূলত অধ্যাপক মান্নান তার পাঁচ বছর মেয়াদে ভয়ে ভয়ে চেয়ারে, ঘরে,আদলতে, হাজতে ও কারাগারে কাটিয়েছেন। তার এই মেয়াদে প্রায় দুই বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র হন সরকারী দলের জাহাঙ্গীর আলম। তিন বছরের মাথায় জাহাঙ্গীর আলমকেও মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মেয়াদের বাকি সময় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ। সব ঠিক থাকলে গাজীপুর মহানগর প্রতিষ্ঠা হওয়ার দশ বছরের মধ্যে দুইজন মেয়রের চেয়ে বেশি সময় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন কাউন্সিলর কিরণ।

এদিকে অধ্যাপক মান্নান মেয়াদ পূর্ণ করার জন্য লিয়াজু করেও শেষ রক্ষা পায়নি। জাহাঙ্গীর আলম একই উদ্দেশ্যে মেয়াদ পূর্ণ করতে নিজ দলের বিরোধী গ্রুপ ও বর্তমান বিরোধী দলের সাথে লিয়াজু করেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ বলছেন নির্বাচিত মেয়রের চেয়ে বেশি সময় মেয়রের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর কিরণ। ফলে কিরণ সাহেবের উচিৎ দুই নির্বাচিত মেয়র থেকে বেশি সেবা করা।

বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে, গাজীপুর সিটির প্রথম মেয়র দলীয়ভাবে কিছু লোককে ও পদ টেকানোর জন্য সরকারি দলের কিছু লোককে সুবিধা দিয়েছেন। অধ্যাপক মান্নান মেয়র থাককালীন সময়ে সার্বজনীন সেবা নিশ্চত নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থেকে গেছে। জাহাঙ্গীর আলম সেবা করেছেন সার্বজনীন। আড়ালে আবডালে হলেও জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দলমত নির্বিশেষে সবারই একটি সম্পর্ক ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। ফলে মেয়র হওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম প্রতিটি জাতীয় উৎসবে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা ও অনুদান দিতেন। বর্তমানে তিনি মেয়রের চেয়ারে না থাকায় সর্বশ্রেণির মানুষ চলমান ঈদুল ফিতরের দান অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে বর্তমানে মেয়রের চেয়ারে থাকা আসাদুর রহমান কিরণ জাহাঙ্গীর আলম বা অধ্যাপক মান্নানের মত ঢালাওভাবে দান অনুদান দিচ্ছেন বলে স্পষ্ট নয়। ফলে সুবিধা বঞ্চিত মানুষ যারা রাজনীতি গণতন্ত্র বা ষড়যন্ত্র বুঝেনা, সেই অবুঝ মানুষেরা কোথায় যাবে? ঈদ করবে কি করে! এই প্রশ্ন এখন সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *