জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারো নেই : আতিকুল

Slider জাতীয়


ঢাকা: খাল দখলদারদের হুশিয়ার করে দিয়ে বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারও নেই। আপনাদের (দখলদারদের) হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।

উত্তরখানের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।

এদিন সকাল ১১টায় ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে, দুপুর সাড়ে ১২টায় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনে এবং দুপুর আড়াইটায় ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাথাইড় মাঠে তিনটি পৃথক জনসভায় অংশ নেন তিনি।

মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন। এখানকার রাস্তাগুলো চওড়া হবে। ১৩টি খালের অনেক জায়গায় দখল হয়ে আছে। খাল পুনরুদ্ধার করে উন্নয়ন করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।

তিনি আরও বলেন, যাদের ক্ষমতা আছে, যারা শুধু নিজের চিন্তা করে, জনগণের কী হবে তা চিন্তা করে না। এ খালগুলো জনগণকে নিয়ে আমরা উদ্ধার করবো। জনগণ পাশে থাকলে খাল উদ্ধার হবেই। কেউ চাইলেই অবৈধভাবে কিছু করতে পারে না।

দখলকৃত রাস্তা ও খাল উদ্ধারে জনগণের সহায়তা চেয়ে মেয়র বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে গেলে অনেক স্থাপনা ভাঙা পড়তে পারে। ডিএনসিসির ম্যাপিং অনুযায়ী রাস্তার দুপাশে যার স্থাপনাই থাকুক না কেন, সেগুলো ভেঙে আমাদের রাস্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, খাল উন্নয়নের যে ডিজাইন করা হয়েছে সেখানে জনগণের জন্য খালের দুপাশে হাঁটার রাস্তা থাকবে, সেখানে গাছ লাগানো হবে এবং সাইকেল লেন থাকবে।

নতুন ওয়ার্ডগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সম্পর্কে মেয়র বলেন, এ এলাকার জন্য হোল্ডিং ট্যাক্সের রেট চার্ট করেছি, তবে কোনো ঘর-বাড়ি থেকে এখনই ট্যাক্স নেব না। রাস্তা, ফুটপাত ইত্যাদি নির্মাণ করার পরে ট্যাক্স নেব। তবে, বাণিজ্যিক প্লট, কারখানা ইত্যাদি থেকে অবিলম্বে ট্যাক্স নেয়া হবে। ব্যবসা করবেন, ট্যাক্স দেবেন না এটা হতে পারে না।

এসব এলাকার খাস জমিতে কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, পার্ক ও মার্কেট নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

মেহনতি ও খেটে খাওয়া মানুষসহ সকলের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর দেয়ার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য আগে ড্রেন তৈরি করে তারপরে রাস্তা নির্মাণ করবো।

মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নুল আবেদীন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম মোল্লা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *