অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে অভিযান না চালাতে চিঠি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট

Slider বাংলার আদালত

অনুমতি ছাড়া দেশের যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল দিয়েছেন।

পূর্বানুমতি ছাড়া দেশের যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব উম্মে হাবিবার স্বাক্ষরে গত ৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর দেশের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সদস্যরা নানা বিষয়ে অভিযান করছেন। একটি হাসপাতালে একাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করাতে হাসপাতালগুলোর স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং এ কারণে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে এক ধরনের চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এরই মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সার্বিক কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করার জন্য একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাও সদস্য হিসেবে আছেন। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে পরামর্শক্রমে তা করা যাবে।

এ অবস্থায় যেকোনো সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এরূপ অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকা এবং জরুরি অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাথে সমন্বয়পূর্বক পরিচালনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৭ আগস্ট অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান ও হাসান তারেক পলাশ জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। গত ২৩ আগস্ট এই রিটের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার রুল জারি করে হাইকোর্ট।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *