ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় আমফান, ২ নম্বর দূরবর্তী সংকেত

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি চট্টগ্রাম জাতীয়

ঢাকা: দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও শক্তি সঞ্চয় করে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আমফানে পরিণত হয়ে গেছে।

শনিবার সকাল থেকেই সাগরের তাপমাত্রা গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার জন্য অনুকূল ছিল। মার্কিন জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার (জেটিডব্লিউসি) বলছে, গশনিবার সকাল থেকেই গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের পানির তাপমাত্রা ছিল ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৬ থেকে ৮৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। পরে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে যায়। সেখানকার বেশিরভাগ এলাকায় প্রতি বর্গ সেন্টিমিটার এলাকায় ট্রপিক্যাল সাইক্লোন হিট পটেনশিয়ার (টিসিএইচপি) ১০০ কিলোজুলস। জেটিডব্লিউসি বলছে, ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার জন্য এটা একটি বিশাল মাত্রার তাপ শক্তি। তাপমাত্রার এ রকম অবস্থা হলে দ্রুত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

রাত ০৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না
করতে বলা হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘুর্ণিঝড়টি শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও সুন্দরবন উপকূলের দিকে স্থলভাগে উঠে আসতে পারে ১৯ অথবা ২০ মে’র মধ্যে বলে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রগুলো তাদের মডেল পূর্বাভাসে উল্লেখ করেছে।

এদিকে কলকাতার মিডিয়া বলছে, মে মাসের শুরুতেই ধেয়ে আসছে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় ‘‌আমফান’। যার জন্য় সতর্ক করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেক…

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর আন্দামান সাগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কলকাতার আকাশ শুক্রবার সারাদিনই মেঘলা রয়েছে। সূর্যোদয় মেঘের আড়ালে হওয়ায় দেখা পায়নি শহরবাসী। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমান সহ বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে । শনিবারেও ঝড়-বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *