রাজনগরে মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন, পাঁচ গ্রাম লকডাউন

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

রাজনগর (মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের রাজনগরে মারা যাওয়া ব্যক্তির রিপোর্টে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। রবিবার রাতে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা বর্ণালী দাসকে ঢাকা থেকে ভাইরলজিস্ট ফোনে জানিয়েছেন বলে
জানান তিনি। সতর্কতার জন্য পুলিশ ডলা, ভাঙ্গারহাট, সৈয়দনগর, আকুয়া ও গনেশপুর গ্রামকে লকডাউন করেছে।

এছাড়াও রাজনগর থানার পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য উদ্দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের এক ব্যাক্তি (৪৫) জ্বর-সর্দি নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মারা যান। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে মৃত ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম মৃতের শরীর ও তার স্ত্রীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়। আজ রবিবার রাতে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার বর্ণালী দাস কে ঢাকা থেকে ভায়রোলজিস্ট ফোনে মৃত ব্যক্তি করোনা পজেটিভ বলে জানিয়েছেন।

রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বর্নালি দাস বলেন, মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে পজেটিভ পাওয়া গেছে বলে ঢাকা থেকে ফোনে জানিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট। বিষয়টি জানার পর আমি পুলিশ কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলাপ করেছি এবং জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলেছি। আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান বলেন, মৃত ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। সতর্কতামূলক বাঙ্গারহাট বাজারের আশপাশের পাঁচটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে গ্রামগুলো হলো- ডলা, ভাঙ্গারহাট, সৈয়দনগর, আকুয়া ও গনেশপুর।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার ইউপি সদস্য পাপলু উদ্দিন মৃত মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যাওয়ায় আমরা হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছি।
লকডাউন করা গ্রামগুলোর কেউ যাতে ঘর থেকে বাহির না হয় সেজন্য ওই গ্রামগুলোর মসজিদের মাইকে সতর্কতামূলক ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল হাসেম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মৃত ব্যক্তি করো না পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। সতর্কতার জন্য পাঁচটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঊর্মি রায় বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি জানানোর পর আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি। আশেপাশের পাঁচটি গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *