গাজীপুরের রাজনৈতিক হালচাল-৮: দলীয় ঐক্য হলে গাজীপুর সিটি মেয়র আসবে

Slider গ্রাম বাংলা রাজনীতি সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী সারাদেশ

IMG_0094

 

 

 

 

 

সোলায়মান সাব্বির, গাজীপুর অফিসঃ আসন্ন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় ঐক্য হলে মেয়র পদ ছিনিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গাজীপুর মেট্রো থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুদ রানা এরশাদ। একই সঙ্গে তিনি দল ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় দলীয় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের বিচার দিয়েছেন আওয়ামীলীগের  সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার কাছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচন, মহানগরে ছাত্রলীগের রাজনীতি, দলীয় কর্মী নির্যাতন-নিপীড়ন সহ বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের চলমান হালচাল নিয়ে গ্রামবাংলা নিউজের সাথে খোলামেলা কথা বলেছেন রাজপথ কাঁপানো এই তুখড়  ছাত্রলীগ নেতা।

গাজীপুরের চলমান রাজনৈতিক হালচাল নিয়ে গ্রামবাংলা নিউজের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ অষ্টম পর্ব।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় গাজীপুর মহানগরের রাজবাড়ী রোডে অবস্থিতে একটি  রেষ্টুরেন্টে মাসুদ রানা এরশাদের সাক্ষাতকারটি গ্রহন করেন গ্রামবাংলানিউজটয়েন্টিফোরডটকম এর গাজীপুর অফিসের স্টাফ রিপোর্টার সোলায়মান সাব্বির।

গ্রামবাংলা নিউজঃ আপনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর মহানগর শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।আপনার পদত্যাগের পর মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান অবস্থা কেমন?

মাসুদ রানা এরশাদঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন।বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশ্বের সর্ববৃহত ছাত্রসংগঠন।গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ অত্যন্ত শক্তিশালী ও সুসংগঠিত ,তবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে সংগঠন চালানোর ফলে এর গতি একটু ধীর হয়ে গেছে।নতুন সভাপতি হিসাবে ত্যাগী ছাত্রনেতাদের দায়িত্ব দিলে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।

গ্রামবাংলা নিউজঃ আপনার পদত্যাগের পর সভাপতি পদটি পুরন হচ্ছে না কেন?কে সভাপতি হলে মহানগর ছাত্রলীগ দলীয় আদর্শ যথাযথভাবে লালন করতে পারবে?

মাসুদ রানা এরশাদঃএই বিষয়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি সুন্দর কমিটি গঠন করা দরকার।এক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতাকে নেতৃত্বে আনতে পারলে পুর্বের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

গ্রামবাংলা নিউজঃ আপনি গাজীপুর মেট্রো শাখা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী।এ ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?

মাসুদ রানা এরশাদঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গাজীপুর মহানগরের আদলে সদর থানা  কমিটি হবে এবং সেই থানা কমিটির আমি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী।আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমার সাথে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।এখন এই কমিটির নেতৃত্বে আসার জন্য আমি আশাবাদী।আমি বিশ্বাস করি গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড আজমতউল্ল্যাহ খান,সাধারন সম্পাদক এড জাহাঙ্গীর আলম এবং গাজীপুর ২ আসনের মাননীয় এমপি মহোদয় জাহিদ আহসান রাসেল ভাইয়ের বিচক্ষনার মাধ্যমে  যোগ্য এবং সর্বজন স্বীকৃত একটি কমিটি গঠন করা হবে।

গ্রামবাংলা নিউজঃগাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আপনার দল কাকে মনোনয়ন দলে বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন?

মাসুদ রানা এরশাদঃবিগত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আমরা জয়ী হতে পারি নি।আমি বিশ্বাস করি গাজীপুরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিন্ন চোখে দেখেন এবং তিনি গাজীপুরের দিকে বিশেষ নজর দেন।আপনার ইতিপুর্বে জানেন যে সিটি নির্বাচনে গাজীপুর মহানগরের সভাপতি এড আজমতউল্ল্যাহ খান এবং সাধারন সম্পাদক  এড জাহাঙ্গীর আলম দুইজনই মেয়র পদপ্রার্থী।কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা যাকেই মনোনয়ন দিবে ইনশাল্লাহ আমাদেরই জয় হবে।তবে এ বিষয়ে বলতে চাই সিটি নির্বাচনে জয় সুনিশ্চিত করতে হলে দলীয় ঐক্যের প্রয়োজন।

গ্রামবাংলা নিউজঃআপনার দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী পুলিশি হয়রানীর শিকার হয়েছেন মর্মে জনশ্রুতি আছে।ক্ষমতাসীন দলের একজন ত্যাগী কর্মী হিসাবে আপনার মুল্যায়ন কী?

মাসুদ রানা এরশাদঃআমি আপনার সাথে এই বিষয়ে একমত।আসলে শুধু গাজীপুর নয় দেশব্যাপী দলীয় নেতাকর্মীরা অহেতুক পুলিশি বিড়ম্বনায় পড়েছে।ভালোর সাথে খারাপ থাকবেই,আর সে কারনেই যেখানে ভালো পুলিশ আছে সেখানে খারাপ পুলিশও রয়েছে।আমার জানামতে গাজীপুরে বেশিরভাগ ত্যাগী নেতাই পুলিশি হয়রানীর স্বীকার হয়েছেন। এই ব্যাপারে আমি সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করব যাতে করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের আর পুলিশী হয়রানির মধ্যে পড়তে না হয়।

গ্রামবাংলা নিউজঃজাতীরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আপনার বর্নার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যত মূল্যায়ন ও পরিকল্পনা বলুন?

মাসুদ রানা এরশাদঃআমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে অর্থাৎ স্বাধীনতার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।যখন থেকে রাজনীতি শুরু করি তখন থেকেই নিজেকে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হিসাবে মনে করি।শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত কাজ করে যাব।সর্বশেষে এটাই বলতে চাই জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিজেকে নিয়োজিত রাখব আমৃত্যু।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *