সেলফি নিয়ে নতুন করে
বলবো কি আর ভাই
ইচ্ছে হল বলেই দু’লাইন
লিখতে তবুও চাই।
কিশোর তরুন জোয়ান বৃদ্ধ
বাদ কেহ নেই ভবে
সকাল-দুপুর, সন্ধা-রাতে
সেলফি নিতেই হবে।
স্কুলের ব্যাগটা স্কন্ধে তুলে
সেলফি নেয়া চাই
কলেজ গিয়ে মাঠের ঘাসে
শুয়েও সেলফি চাই।
ক্লাসের ফাঁকে বেঞ্চে বসে
একটা সেলফি চাই
স্যারের কাঁধে বা’হাত রেখে
সেলফি তোলা চাই।
স্যারের আবার দামি মোবাইল
ক্যামেরাটাও বেশ
ছাত্র-ছাত্রী এক ক্যামেরায়
সেলফি হোক, শেষমেশ।
ক’মাস পরে রেষ্টুরেন্টে
নাশতা করতে গিয়ে
খাবার ক’টা পরে খাবো
আগে সেলফি নিয়ে।
খাবারসহ প্রথম সেলফি
আরেকটা মুখে নিয়ে
খালি প্লেটের সেলফি কিন্তু
তুলবো ঢেঁকুর দিয়ে।
রোগী দেখতে হাসপাতালে
সেলফি তুলি আগে
অপারেশান শুরু হলে
না যদি পাই ভাগে !
পাশের ঘরের রমিজ মিয়া
মরলো কিছু আগে
মরার খবর পোস্টে দিতে
সেলফি তোলা লাগে।
রমিজ মিয়া মরার পরে
চলছে কবর খোঁড়া
কবরটাতো দারুণ হলো
সেলফি তুলি, দাঁড়া।
রমিজ মিয়ার জানাজাতে
শরিক হয়ে তবে
সেলফি তুলে ফেইসবুকে এক
স্ট্যাটাস দিতে হবে।
জানাজা শেষ, দাফন হবে
মুঠোয় নিয়ে মাটি
ফ্রন্ট ক্যামেরায় বন্দী হয়ে
লাগছে ফাটাফাটি।
রাস্তার উপর দুর্ঘটনায়
দু’জন মরে শেষ
সেলফি তুলে ফেইসবুকে এক
স্ট্যাটাস দেবো বেশ।
ক’জন আবার রক্তেমাখা
দম যায় যায় ভাব
মোক্ষম সময়ে সেলফি না নিলে
মোবাইল থেকে কি লাভ?
আগুন লেগে পুড়ছে ভবন
পুড়ছে মানুষ কতো
এমন সময় সেলফি নিলে
হবে মনের মতো।
ক’জন মিলে পিটছে কাউকে
পাশেই শতজন
সব্বাই আবার সেলফিবাজ
কেউ নয়তো স্বজন।
এমনি করে সেলফি যেন
রূপ নিয়েছে ব্যামোয়
এ যেন এক মহামারি
কাজ হবে না ক্যামোয়।।