করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪২৫

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা সারাবিশ্ব

ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা। অনলাইন বিবিসির মতে, করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন কমপক্ষে ৪২৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২০,০০০ মানুষ। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় নিজেদের স্বল্পতা ও ঘাটতির কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নিয়েছে চীনের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমন স্বীকারোক্তি আসে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থেকে। এমন স্বীকারোক্তি বিরল। ওই বৈঠক থেকে বন্যপ্রাণি কেনাবেচার অবৈধ মার্কেট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ধারণা করা হয়, এসব বন্যপ্রাণির মার্কেট থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। প্রথম দিকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যখন দেখা দেয় তখন সরকার একে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ আছে। অনেক ক্ষেত্রেই চাপ প্রয়োগ করে এ খবরকে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম দিকে উহানের একজন ডাক্তার তার সহকর্মীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন এই ভাইরাস সম্পর্কে।

কিন্তু কর্তৃপক্ষ মিথ্যা মন্তব্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাকে অভিযুক্ত করেছে। পুলিশ দিয়ে তাকে এসব ‘অবৈধ কর্মকা-’ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে। ওই ডাক্তারের সতর্কতা দেয়াকে তারা অবৈধ কর্মকা- বলে প্রচারণা চালায়। কিন্তু সরকার যখন করোনাভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। জানুয়ারির শেষের দিকে এসে তারা স্বাস্থ্য বিষয়ক কঠোর পদক্ষেপ নেয়। কার্যত অবরুদ্ধ করে ফেলে হুবেই প্রদেশ। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মতে, শুধু সোমবারে সেখানে মারা গেছেন ৬৪ জন। মৃত এসব মানুষ হুবেই প্রদেশের। এরই মধ্যে ফিলিপাইনে চীনা এক পর্যটক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মঙ্গলবার হংকংয়ে প্রথমবারের মতো এতে মারা গেছেন একজন। আরটিএইচকে টেলিভিশন বলেছে, ওই ব্যক্তির বয়স ৩৯ বছর। তিনি মারাত্মক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২১ শে জানুয়ারি তিনি উহান সফরে গিয়েছিলেন। এই ভাইরাকে সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সঙ্গে থাকে জ্বর। এর সঙ্গে থাকে শুকনো কাশি। ২০০২-২৩ সালে সার্স ভাইরাসে চীনে মারা গিয়েছিলেন ৩৪৯ জন। কিন্তু এবার তাও ছাড়িয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *