করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় সাফল্যের দাবি থাই চিকিৎসকদের

Slider জাতীয় সারাদেশ

করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় সাফল্যের দাবি করেছেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা। এইচআইভি ও ফ্লু’র চিকিৎসায় ব্যবহৃত তিনটি অ্যান্টিভাইরালের সংমিশ্রণে নতুন একটি ওষুধ তৈরি করেছেন তারা। এটি ব্যবহারে ভাইরাসটি আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার এমনটা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে রাজাভিথি হাসপাতালের চিকিৎসক ক্রিয়েংসাক আতিপর্নোয়ানিচ বলেন, নতুন ওষুধটি ব্যবহারের পর ভাইরাস আক্রান্ত ৭১ বছর বয়সী এক চীনা নারীর অভাবনীয় উন্নতি হয়। ওষুধটি দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত হয়ে ওঠেন। ক্রিয়েংসাক আরো বলেন, আগে তিনি খুব দুর্বল থাকলেও, ওষুধটি নেয়ার পর ১২ ঘণ্টার মতো বিছানায় বসে থাকতে পারতেন।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১৯ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আট জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বাকি ১১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় এইচআইভি ও ফ্লু ভাইরাসের ওষুধ ব্যবহারের পক্ষে আগে থেকেই মতামত দিয়ে আসছেন চীনা কর্মকর্তারা। তবে থাই চিকিৎসকরা ফ্লু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘অজেল্টামিভির’ এর সঙ্গে এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ‘লোপিনাভির ও রিটোনাভির’ মিশিয়ে এই সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোমস্যাক আকসলিম বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করছি, তবে আমাদের চিকিৎসকেরা একটি ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে সফলতা পেয়েছেন।
ক্রিয়েংসাক জানান, ওষুধটি এখনো বৈজ্ঞানিকভাবে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় যথাযোগ্য কিনা তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে আরো গবেষণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৭ হাজার। প্রতিদিন কয়েক ডজন করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চীনের বাইরেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *