হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধায় ফণীর আগাম ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছপালা নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ফণীর ঘূর্ণিঝড়। এতে ২০/ ২৫টি ঘর ভেঙ্গে যাওয়ার তালিকা পাওয়া গেছে। এতে গাছ পড়ে বেশ কিছু এলাকায় আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও থেমে থেমে চলা শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে।
আধাপাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড বেগে আঘাতহানা ঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।
উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চলগুলোতে।
সেখানে ভুট্টা চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ঝড়ের কারণে লালমিনহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এদিকে খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত্র পরিবারকে দেখতে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবু্বুজামান আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান।
মধুর বাজারে নুর আলম জানান, মদাতী ইউনিয়নের বেশিভাগ গ্রামের অনেক ঘর ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমি।
কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষক মিজানুর রহমান জানান, চরাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে।
তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে প্রাথমিক জানা যায়নি।
মদাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, এ ঝড়ে তার ইউনিয়নে অসংখ্য ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। সকাল হলে জানা যাবে কতগুলো ঘর বাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ ভূষণ রায় বলেন, এ ফণীর আগাম শিলাবৃষ্টিতে ধান ও ভুট্টাসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায় নি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জহুরুল হক জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করতে ইউএনওকে পাঠানো হয়েছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত্র পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।