পুলিশকে ‘বোকা’ বানাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন!

Slider বিচিত্র

স্ত্রী আমাদের দুই সন্তানকে মেরে ফেলেছিল। তা দেখার পর মাথা ঠিক রাখতে না পেরে আমি খুন করি ওকে।

পুলিশকে এমনটাই বলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর ক্রিস্টোফার লি ওয়াটস। কিন্তু, শেষ রক্ষা হলো না তাতে।
পুলিশ উল্টে স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করল তাকে। গত সপ্তাহেই ডেনভারের সামনে একটি তৈল ও গ্যাস সংস্থা অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে ক্রিস্টোফারের স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

ওই সংস্থারই এক কর্মচারী ক্রিস্টোফার। ওয়েল্ড কাউন্টি ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি মাইকেল রুরকে কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, ৩৩ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার তার ৩৪ বছর বয়সী স্ত্রী শ্যাননের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় গত ১৩ অগস্ট।

তার এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ক্রিস্টোফার দাবি করেছিল, তাদের কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর দু’জনেই অত্যন্ত মন খারাপ করে কান্নাকাটি করতে আরম্ভ করে। ক্রিস্টোফার তদন্তকারীদের জানায় যে, সে কথাবার্তা শেষ করার পর নিচে গিয়েছিল।

তারপর শ্যাননের সঙ্গে আবার কথা বলতে এসে তাদের সন্তানদের ঘরে গিয়ে দেখে চার বছর বয়সী বড় মেয়ে বেলা নিজের বিছানায় লুটিয়ে পড়ে আছে।

আর, শ্যানন তাদের তিন বছর বয়সে ছোট মেয়ে সেলেস্তের শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করছে। তার চোখের সামনেই তার ছোট মেয়ে মারা যায়। ওই ঘটনা দেখে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে নিজের স্ত্রীকেও মেরে দেয় ক্রিস্টোফার। তারপর তিনটি মরদেহ একটি ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে রেখে আসে ওই সংস্থার এলাকায়।
গত বুধবার তাকে গ্রেফতার করার পর এখনও পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়নি। আদালতে তাকে তোলা হবে মঙ্গলবার সকালে। তার বিরুদ্ধে কী কী মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেখানেই তা জানানো হবে তাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই শিশুর মরদেহ টানা চারদিন ধরে চুবিয়ে রাখা ছিল অশোধিত তেলে। তাদের শরীরের ডিএনএ স্যাম্পেল নেওয়া হবে। যদিও, কীভাবে তাদের মৃত্যু হলো, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

প্রায় দমবন্ধ করা গোয়েন্দা কাহিনীর মতো এই ঘটনা। যা, প্রথমে ভুলপথে চালিত করে ফেলছিল পুলিশকেও। এই কাহিনী কাগজের পাতা থেকে নয়, উঠে এল আমাদের চারপাশের বাস্তব থেকেই। বাস্তবের এই রহস্যকাহিনীর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আদালত, এখন সেটাই দেখার। সূত্র: এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *