মাত্র ৮দিন: দলীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রিয় নেতাদের অব্যবহার নিয়ে নানা মত

Slider টপ নিউজ সারাদেশ

31901290_382639222236825_638265890038611968_n

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ৮দিন বাকী। ৯ম দিনেই হবে নির্বাচন। ভাগ্য নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন গাজীপুর সিটি মেয়র। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ৭মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুই জনের মধ্যেই হচ্ছে আসল লড়াই। ইতোমধ্যে নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ধানের শীষ প্রার্থী বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচন করছেন স্থানীয় লোক না পেয়ে।

আর ধানের শীষ প্রার্থী বলছেন, আভ্যন্তরীন কোন্দলে কেন্দ্রিয় নেতারা না আসায় কেন্দ্রিয় নেতাদের বহিরাগত বলছেন প্রতিপক্ষ। আর কোন্দলের কারণে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় দলীয় অফিস নীরব।

আর পুলিশ বলছে, চিহিৃত সন্ত্রাসী আর মাদক মামলায় জড়িত সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার চলছে, কোন রাজনৈতিক গ্রেফতার হচ্ছে না। এই সব বিষয় নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম প্রথম থেকেই প্রচারণার কেন্দ্র হিসেবে নিজের বাসভবন ব্যবহার করছেন। আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে তেমন কোন প্রচারণা নেই। নৌকার প্রার্থী শুরু থেকেই বলছেন, স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় লোকজন করবে। এখানে বহিরাগত লোকের দরকার নেই। আর তিনি প্রতিপক্ষ ধানের শীষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বহিরাগতদের দিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করছেন রীতিমত। অনেক সময় তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বহিরাগত সন্ত্রাসী জমায়েতের অভিযোগও করছেন স্পষ্ট। সুতরাং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বহিরাগত হিসেবে কাকে বুঝাচ্ছেন তা স্পষ্ট না করলেও প্রতিপক্ষের কেন্দ্রিয় নেতাদের বুঝাচ্ছেন বলেই মানুষ মনে করছেন।

এ ছাড়া তিনি প্রথম থেকেই নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় নিজের বাসভবন ব্যবহার করছেন। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় তিনি ব্যবহার করছেন না। শুধু সভা হলে দলীয় কার্যালয়ে আসছেন। এ নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তথ্য রয়েছে, আওয়ামীলীগে কেন্দ্রিয় পর্যায়ের নেতা যারা গাসিকে নৌকার নির্বাচন মনিটরিং করছেন তারা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সিনিয়র নেতার বাসায় থাকছেন। প্রকাশ্যে প্রচারণায় তারা তেমনভাব আসছেন না।

এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতা মরিয়া হয়ে মাঠে নামছেন না। শুধু লোক দেখানো ভাবে কয়েকজন নেতা মাঠে যান। এ নিয়ে কেন্দ্রিয়ভাবেও চাপ রয়েছে গাজীপুর আওয়ামীলীগে।

নৌকার কর্মীরা বলছেন, এটা দলীয় নির্বাচন নয়। জাতীয় প্রতীকে হচ্ছে তাই জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে কেন্দ্রিয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ গ্রহন জরুরী। একই সঙ্গে দলীয় কার্যালয় সরগরম করাও অনেক দরকার। আর তা না হলে নানা মানুষ নানা কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *