জিম্মি শহীদ তাজউদ্দীন-৫: ঠিকাদারীতে হিরো, একাধিক জিরো

Slider টপ নিউজ বাংলার মুখোমুখি

গাজীপুর: শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে খাদ্য কাপড়চোপর ও ঔষুধ সহ নানা ধরণের উপকরণ সরবরাহ করে একাধিক ব্যাক্তি জিরো থেকে হিরো হয়েছেন। বিগত সরকারগুলোর আমলেও একই চিত্র দেখা গেছে। নিম্ন মানের জিনিসপত্র সরবরাহ করে ওই সব ঠিকাদার রাতারাতি জিরো থেকে হিরো হয়েছে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছে রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসা করানো দালালদের সিন্ডিকেটও।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠিকাদারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে মূলত হাসপতাাল সংশ্লিষ্ট সরকার দলীয় রাজনৈতিক সংগঠন। যে দল ক্ষমতায় থাকে, সে দলের সরকার সমর্থিত লোকজন ঠিকাদারী ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে। নামে মাত্র ঠিকাদার কে শো করে মূলত তারাই চালিয়ে যায় যাবতীয় ঠিকাদারী ব্যবসা। এতে যে মুনাফা হয় তা ভাগাভাগি করে সরকারী দলীয় রাজনৈতিক সংগঠন। আর এই সূযোগে ঠিকাদাররা হয়ে উঠে জিরো থেকে হিরো।

একটি গোপন সূত্র জানায়, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যারা ঠিকাদারী করেন তারা বিশেষ সিন্ডিকেটের লোক। ঔষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে তারা নানা অজুহাত দেখায়। রোগীদের সরকারী ঔষুধ দেয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে নানা বাাঁধা।

ভুক্তভোগীদের মতে, সরকারী ঔষুধ সকাল থেকে কিছুক্ষন থাকে। পরে থাকে না। আর ডাক্তাররা যে সকল ঔষুধ লিখে দেয়, তার অধিকাংশ ঔষুধ হাসপাতালে নেই। ফলে রোগীর প্রয়োজনে বাইরে থেকে ঔষুধ কিনতে হয়।

শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা বাইরে থেকে বেশী মাত্রায় ঔষুধ কেনার ফলে হাসপাতালের সামনে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ঔষুধের দোকান। প্রায় ২০টির মত ঔষুধের দোকান হওয়ার ফলে বলা যায়, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ওষুধের মার্কেট গড়ে উঠেছে।

হাসপাতালের গোপন সূত্র বলছে, ওই সকল ঔষুধের দোকানের সাথেও ডাক্তারদের গোপন চুক্তি রয়েছে। অনেক সময় ডাক্তাররা ঔষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে ফার্মেসীর নামও বলে দেয়।

জানা গেছে, বেশী ঔষুধ বিক্রির জন্য ফার্মেসী মালিকেরা ডাক্তারদের সাথে নিয়মতি যোগাযোগ রাখেন।

একই সঙ্গে হাসপাতালের কাপড়চোপড় নিয়েও আছে নানা অভিযোগ। খাদ্য নিয়ে অভিযোগের নেই কোন অন্ত। নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করার অভিযোগ চিরায়ত।

সাধারণ মানুষ বলছেন, যারা এ সকল বিষয় দেখভাল করবেন, তারাই দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে সকল মহল থেকে অভিযোগ রয়েছে।

চলবে–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *