এক কনটেইনার আপেলের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। তাতে প্রতি কেজি আপেলের দাম হয় ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আপেল ছাড়াও কেজিপ্রতি আদার সর্বোচ্চ গড় দর উঠেছে ৯ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত কাস্টমস নিলামকেন্দ্রে গতকাল সোমবার বিকেলে প্রকাশ্য নিলামে এই দর ওঠে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ নিলাম আয়োজন করেছে। তবে দর অস্বাভাবিক কম হওয়ায় বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। প্রকাশ্য নিলামে এ পর্যন্ত যত দর উঠেছে এবারই সবচেয়ে কম দর পাওয়া গেছে। গতকাল নিলাম অনুষ্ঠানে ৪৫ জন ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তবে দর হাঁকিয়েছেন আটজন।
জানতে চাইলে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যে দর পাওয়া গেছে সেই দরে এসব পণ্য বিক্রি হবে কি না, এ নিয়ে নিলাম কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। দুই-এক দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিলাম কমিটি এই দর অনুমোদন না করলে আবারও নিলাম হবে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারকেরা পণ্য খালাস না নেওয়ায় এই চার কনটেইনার পণ্য নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত অক্টোবরে এসব পণ্য আমদানি করেছিল চারটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, নিলামে এক কনটেইনারে থাকা ২৩ হাজার কেজি আপেল তোলা হয়েছিল। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই আপেল বিক্রির জন্য সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করেছিল ২০ লাখ টাকা। দর উঠেছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর আগে বিভিন্ন নিলামে কনটেইনারপ্রতি আপেলের দর উঠেছিল ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ওই দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিক্রির অনুমোদনও দিয়েছিল। আপেল ছাড়াও তিন কনটেইনারে ২৩ হাজার কেজি করে আদা নিলামে তোলা হয়। কনটেইনারভেদে আদার সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১৫ লাখ ২০ হাজার থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে কনটেইনারভেদে সর্বোচ্চ দর পড়েছে ১ লাখ ৮০ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে আদার গড় দর উঠেছে কেজিপ্রতি প্রায় ৯ টাকা।
দর কেন কম পড়েছে জানতে চাইলে নিলামে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, নিলামে পণ্যের দর কত হবে তা নির্ভর করে পণ্যের গুণগত মানের ওপর। যাঁরা নিলামে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা আগে পণ্যের গুণগতমান যাচাই করেন। মান ভালো না হলে ভালো দরও কেউ দিতে চান না। এই চালানে পণ্যের মান ভালো না হওয়ায় ভালো দামও ওঠেনি।