তেরো বছরের কাজল খানের বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশের ঘতমপুরে। প্রিয় বন্ধুকে ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও থাকতে পারে না এই কিশোরী।
একসঙ্গে খেলা করে। এক বিছানায় ঘুমোয়। এমনকী‚ খাওয়ার সময় বন্ধুর মুখে তরকারিও ঢুকিয়ে দেয় কাজল। তার প্রিয় বন্ধু হল একটি কিং কোবরা। কাজলের দিন কাটে বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ কাল কেউটের সঙ্গে।
কাজলের বাবা তাজ মহম্মদ গত ৩৩ বছর ধরে ঘতমপুরে সাপ ধরার কাজ করেন। তাঁর বড় ছেলেও এই পেশা নিয়েছেন। কিন্তু কাজলের মতো সাপ-বন্ধু? না‚ বাপ-ছেলে ভাবতেও পারেন না।
কাজল কিন্তু বহুবার কেউটে ছোবল খেয়েছে।
কিন্তু পোষ্যর উপর রাগ করে না সে। তার কথায়‚ পোষ্যকে একমাত্র খুব বিরক্ত করলেই তখন ছোবল দেয় সেটি। মুখে যা-ই বলুক‚ অনেকবার কাজল বিষের চোটে জ্ঞান পর্যন্ত হারিয়েছে। বাবার আনা ওষধিই তখন ভরসা। বন থেকে খুঁজে আনা সেই গোপন ওষধি মাখন আর গোলমরিচের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে দিতে হয়। দিতে হয় ক্ষতস্থানেও। ওষধির গোপনীয়তা বাইরে বলতে চান না অভিজ্ঞ সাপুড়ে তাজ মহম্মদ খান।
কাজলের মা সালমা বানো কিন্তু মেয়ের এই সাপ-দোসর পছন্দ করেন না। একদিন বন্ধুকে কাঁধে জড়িয়ে নিয়ে স্কুলে চলে গিয়েছিল কাজল। ঢোকার অনুমতি পায়নি। তাই‚ সালমা চান না মেয়ে রাতদিন সাপের সঙ্গে থাকুক। কিন্তু ভবী ভোলবার নয়। বিষধর কেউটেই প্রিয় বন্ধু কাজলের। তাকে কাছছাড়া করতে মন চায় না যে একেবারেই !