ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির রাজধানী ভিয়েনার হউফসাইলে বাংলাদেশ দূতাবাসে গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবু জাফর। সঞ্চালনা করেন কাউন্সেলর ও চ্যান্সারি প্রধান রাহাত বিন জামান।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন রাহাত বিন জামান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মালিহা শাহজাহান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সর্ব ইউরোপিয়ান শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রিয়াপ্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাস অনারারি কাউন্সেলর ভলফগাং উননিনগার, আওয়ামী লীগের অস্ট্রিয়া শাখার সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহসভাপতি রুহী দাস সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, শিল্পী আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হুদা চৌধুরী, ফিরুজ আহমেদ ও রতন সাহা প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর তার বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসের এই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সমবেত সুধীজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি স্বাধীনতা লাভে বাঙালির আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে এযাবৎ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রবাসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এম নজরুল ইসলাম বলেন, যেসব স্বপ্নে তাড়িত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তাদের সেসব স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পূরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের ও গৌরবের দিনে আমাদের প্রত্যয় হোক সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে ধরে এগিয়ে যাওয়া।
অনুষ্ঠানের শেষে বাংলাদেশের সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার জুবায়দুল হক চৌধুরী।
আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।