আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এটাই হবে আজকের দিনের শপথ।
আজ রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত একটি দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এ দেশের জনগণ আর তাদের ভোট দেবে না। কারণ তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে। যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খালেদা জিয়া রাজনীতি করছে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে ধংসাত্মক কর্মসূচি ডেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের দিয়ে আগুন জ্বালায়-পেট্রলবোমা মারে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হুকুম দেয় খালেদা জিয়া আর পরামর্শ করে তার ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে। যে শত শত কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করে বিদেশে পাঠিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে আজ ভাঙা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জির ভেতর থেকে কো কো ওয়ান, টু থেকে অনেকগুলো জাহাজ। আবার এখন শুনছি মার্কেট বের হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করতে যাদের অবদান নেই, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে তারা দেশের জন্য কিছুই করবে না। বরং লুটপাট করে তারা দেশটাকে আরও ধ্বংস করবে। তাদের আর কোনোদিন ভোট দেবেন না।
আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে অালম মুরাদ।