ভক্ত আর সংবাদমাধ্যমের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে বিয়েটা সেরেছেন চুপিসারেই। তবুও বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই চারিদিকে কোহলি-আনুশকার রূপকথার বিয়ে নিয়েই যত আলোচনা।
শনিবার ইতালির টাস্কানিতে বিয়ে করেন দুজনে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে তাদের বিয়ে এবং হানিমুনের ছবি দেখতে পায় সবাই। কিন্তু সেই বিয়েতে গুটিকয়েক নিমন্ত্রিতের জন্য যে ‘রিটার্ন গিফট’ এর ব্যবস্থা ছিল, তা এবার সামনে এল।
জানা গেছে, কোহলি-আনুশকার এই রূপকথার বিয়ের আয়োজনের দায়িত্ব পরেছিল সেলিব্রেটি ওয়েডিং প্ল্যানার দেবিকা নারায়ণের উপর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই দেবিকা নারায়ণই ফাঁস করেছেন কোহলি-আনুশকার বিয়ের অনেক গোপন তথ্য।
দেবিকা বলেছেন, কোহলি-আনুশকার দুজনের পক্ষ থেকেই কঠোর নির্দেশ ছিল বিয়ের খবর যাতে কোনোভাবেই ফাঁস না হয়। আর এই গোপনীয়তা বজায় রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের ছিল তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন দেবিকা।
তিনি জানান, বিয়ের পরিকল্পনা করার সময় একবারের জন্যও কোথাও আনুশকার নাম নেননি তিনি। এমনকি আনুশকা সঙ্গেও প্রথমবার দেখা করার সময়েও তাকে শুধু মাত্র ‘নতুন বউ’ বলেই নাকি সম্বোধন করেছেন।
সাক্ষাৎকারে ওয়েডিং প্ল্যানার দেবিকা আরো বলেন, বিয়ের দিন আমন্ত্রিত সমস্ত অতিথির জন্যই রিটার্ন গিফটের ব্যবস্থা ছিল। আনুশকা-কোহলি দুজনেই পারস্যের সুফি কবি রুমির ভক্ত। তাই বিয়ের রিটার্ন গিফট হিসাবে কবি জালালউদ্দিন মোহাম্মদ রুমির কবিতা সমগ্রকেই বেছে নেন এই তারকা জুটি। বইয়ের চেয়ে অসাধারণ উপহার কিছু হতে পারে?
এছাড়াও দেবিকা জানান, বিয়ের তিনদিনই অতিথিরা নিমন্ত্রিত ছিলেন। প্রথমদিন ছিল এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান এবং তার সঙ্গে অতিথিদের জন্য সৌজন্য মধ্যহ্নভোজের আয়োজন। দ্বিতীয় দিল ছিল মেহেদী অনুষ্ঠান। সেদিন অতিথিদের জন্য রাতে বন ফায়ারের ব্যবস্থা ছিল। আর তৃতীয়দিন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যেদিন আনুশকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন কোহলি।