ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গত শুক্রবার ভোরে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাড়ি আসেন। ভোরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে একজনের সহযোগিতায় সোহাগ মিয়া (২০) নামের এক বখাটে তুলে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর মেয়েটির যৌনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে পোঁচ দিয়ে আহতাবস্থায় ফেলে রাখা হয়। মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়ের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা।
মেয়েটির বাবা বলেন, শুক্রবার ভোরে তিনি বাড়ির পেছন দিকে মেয়ের আর্তচিৎকার শুনতে পান। লোকজন নিয়ে সেখানে গিয়ে আহতাবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করেন। মেয়ে জানিয়েছে, এক সহযোগীসহ সোহাগ মুখ চেপে ধরে তাঁকে তুলে নিয়ে গেছেন। বাড়িতে থাকার সময় সোহাগ তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. বদরুল আলম খান বলেন, পুলিশ জানতে পেরেছে, সোহাগ মেয়েটিকে একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোহাগ মিয়ার মুঠোফোনে ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।