ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের সঙ্গে এই সিটির নতুন ১৮টি ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল রবিবার কমিশনের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
এদিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আলোচ্যসূচিতে এই নির্বাচনের বিষয়টি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
ইসি সূত্র জানায়, ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং এই দুই সিটির বর্ধিত ৩৬টি ওয়ার্ডে ভোট করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুরোধে ছয়টি বিষয় বৈঠকে পর্যালোচনা করবে ইসি। এগুলো হচ্ছে- মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচনের বর্তমানের এখতিয়ারাধীন এলাকা, সীমানা ও ওয়ার্ড, শূন্য পদে উপ-নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ড বিভক্তি ও ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস, বিভক্তিকৃত ওয়ার্ড ও পুনর্বিন্যস্ত ভোটার তালিকার সিডি প্রাপ্তির সর্বশেষ অবস্থা, উপ-নির্বাচনের প্রাক্কালে হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নিষ্পত্তি বিষয়ক কার্যক্রমে প্রভাব, দুই সিটির সীমানা বাড়ানোর পর ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি ও ওয়ার্ড চূড়ান্ত করার পর পরিষদের পূর্বের সদস্য ও বর্তমান সদস্য সংখ্যা এবং পরিষদ গঠনবিষয়ক ধারা ৫(৩) এর বিধান পর্যালোচনা এবং দুই সিটিতে সীমানা ও ওয়ার্ড বাড়ায় পরিষদের বা বর্ধিতাংশের কাউন্সিলর পদের মেয়াদ বা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো জটিলতা অথবা আইনি দিক পরীক্ষা করা।
কমিশন সচিব বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আইনি কোনো জটিলতা নেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন করার জন্য একটি পত্র কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। রবিবার কমিশন সভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে। কমিশনাররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মেয়রের সঙ্গে যেসব কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তারা বাকি মেয়াদের অংশটুকুর জন্য নির্বাচিত হবেন অর্থাৎ কাউন্সিলররা বাকি আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন বলে ইসি সূত্র জানায়।
সূত্র আরো জানায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে শপথ নেওয়া জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ থাকে ৫ বছর।
ওই নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীর মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের এপ্রিলে। মেয়র পদে নতুন যিনি আসবেন তিনি মেয়াদের বাকি অংশটুকু দায়িত্ব পালন করবেন।
৩০ নভেম্বর ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর ১ ডিসেম্বর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশনকে এ উপ-নির্বাচন করতে হবে।
এ ছাড়াও ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলো হলো- বাড্ডা ইউনিয়নের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, ভাটারার ৩৯ ও ৪০ ওয়ার্ড, সাঁতারকূলের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড, বেরাইদের ৪২ নম্বর ওয়ার্ড, ডুমনির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরখানের ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণখানের ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড এবং হরিরামপুরের ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড। অপরদিকে ডিএসসিসির নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলো হলো- শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নের ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড।