আজকালকার গ্লোবাল ভিলেজ সংস্কৃতির দুনিয়ায় ‘সাইড-বিজনেস’ কে না করতে চায়! নিজের মূল পেশার বাইরে অর্থোপার্জনের জন্য অন্য ধরনের কাজকর্ম করা বা চালানোকে সাইড বিজনেস বলে ধরা হয়।
তো শোবিজ জগতের তারকারাও এ লাইনে বরাবরই চেষ্টা করেন।
সেই ধারায় বলিউড সেনসেশন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজও এবার ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছেন। সাবেক মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কান এই সুন্দরী এখন বলিউডের বাসিন্দা হলেও ব্যবসাপাতি করতে দোকান খুলেছেন নিজ শহর কলম্বোয়।
শেফ মুনিদাসার সঙ্গে জ্যাকুলিন -ফাইল ফটো
২০০৬ সালে মিস ইউনিভার্সজয়ী এবং হালের‘জুরুয়া২’ অভিনেত্রী জ্যাকুলিনের রেস্টুরেন্ট ব্যবসার কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য-
জ্যাকুলিন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় মন দিয়েছেন। তবে তার রেস্টুরেন্টের নামটি অদ্ভুতই বলা যায়- কিমা সূত্র বা কায়েমা সূত্র (kaema Sutra)। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন কামসূত্র। কিন্তু তা না, এখানে ভোজনরসিকদের ক্ষুধা মেটানোর জন্য খাবার-দাবারের বিশেষ পদ পরিবেশন করা হবে। তবে রেস্টুরেন্টের আসল বৈশিষ্ট্য মাছ জাতীয় ও সামুদ্রিক খাবার। পাওয়া যাবে অসাধারণ সব পানীয়ও।
মুখরোচক এমন বেশ কিছু ডিশ মিলবে কায়েমা সূত্রে -ফাইল ফটো
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে চালু হওয়া ‘কিমা সূত্র’ বা ‘কায়েমা সূত্র’ কিন্তু যেনতেন রেস্টুরেন্ট নয়- রীতিমতো ফাইভস্টার রেস্টুরেন্ট।
এই রেস্টুরেন্টের শেফও কোনো যদু-মধুকে নেওয়া হয়নি। এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তারকা খ্যাতি পাওয়া লংকান শেফ দর্শন মুনিদাসা। মুনিদাসার সম্পর্ক কিমাসূত্র ছাড়াও আরও দুটি শানদার রেস্টুরেন্টের সঙ্গে রয়েছে। নিহোনবাশী এবং দ্য মিস্ট্রি অব ক্র্যাব নামের এই রেস্টুরেন্টগুলো এশিয়ার শীর্ষ ৫০টি রেস্টুরেন্টের তালিকায় আছে। জ্যাকুলিনের আশা তার প্রতিষ্ঠানও একসময় দুনিয়ায় বেশ নাম করবে।
সেই লক্ষ্যে আগের জায়গা ছেড়ে কলম্বোর পাঁচতারা হোটেল সাংগ্রিলায় স্থান নিয়েছে কিমাসূত্র। সে সূত্রে শহরের অভিজাত ভোজন রসিকদের কাছে এটা এখন অন্যতম আর্কষণীয় এক স্থান। এর আগে কিমাসূত্রের অবস্থান ছিল ইন্ডিপিন্ডেন্স স্কোয়ার আর্কেডে। গত ২০ নভেম্বর সেই ঠিকানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর জ্যাকুলিন সাংগ্রিলায় গত ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেন কিমাসূত্রের নয়া আয়োজন।
রেস্টুরেন্ট স্টাফদের উৎসাহ দিতে তাদের সাজে তাদের সঙ্গে জ্যাকুলিন -ফাইল ফটো
দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের বেশকিছু নামীদামী ডিশের সঙ্গে এখানে মিলবে লংকান মুখরোচক সব পদও।
প্রসঙ্গত, বলিউড স্টার গোবিন্দ থেকে নিয়ে শিল্পা শেঠি পর্যন্ত অনেকেই এ যাবত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় হাত পাকিয়েছেন। সূত্র মতে, মুম্বাইতেও এই রেস্টুরেন্টের শাখা খুলতে যাচ্ছেন জ্যাকুলিন।
মিশ্র সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা জ্যাকুলিনের বাবা এলরয় শ্রীলঙ্কান আর মা এক সময়ের বিমানবালা কিম মালেশিয়ান নাগরিক। জ্যাকুলিনের নানা ছিলেন কানাডীয়। মিউজিশিয়ান বাবা এলরয় শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের আঁচ থেকে বাঁচতে গত শতাব্দীর আশির দশকে বাহরাইন চলে যান। সেখানে পরিচয় এবং পরিণয় কিমের সঙ্গে। তাদের কন্যা জ্যাকুলিন ১৪ বছর বয়সে বাহরাইনে টেলিভিশন শো উপস্থাপনা করতেন। পরে শ্রীলঙ্কায় ফিরে টেলিভিশন রিপোর্টার হিসেবেও কাজ করেন এই বিশ্বসুন্দরী।