বলিউড যতটা ঝকঝকে ততটাই পর্দার অন্যদিকে ছেয়ে রয়েছে অন্ধকার। যতটা এখানে ফ্ল্যাশবাল্বের আলো ঝলকায় ততটাই গভীর অবসাদের কালো মেঘ।
কেউ অবসাদে, কেউ বা নিজের শখে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেশা করেন, কেউ বা কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে এই কাজ করেন। জেনে নেওয়া যাক বেশ কিছু বলিউড তারকাদের কথা যাঁরা নেশা ছা়ড়া থাকতে পারেন না।
ধর্মেন্দ্র
স্বর্ণযুগের অভিনেতা ধর্মেন্দ্রও পার্টিতে মদ্যপানের বিষয়ে পিছিয়ে থাকেন না। তিনি নিজেই একটি ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি মদ্যপান করেন। আর তার ফল এই বৃদ্ধ বয়সে তিনি পাচ্ছেন।
অমিশা প্যটেল
বলিউড পার্টিতে মদের বন্যা এমনিতেই বয়ে যায়। আর সেই ফোয়ারায় গা ভাসিয়েছেন বহু সেলেব্রিটিই। এরকমই একজন বলি অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল।
ঋষি কাপুর
কাপুর পরিবারে ঋষি কাপুর এমন এক সদস্য যাঁর মদ্যপান ছাড়া একটি দিনও কাটে না।
এমনই তথ্য জানিয়েছে সূত্র। বহু জায়গায় তাঁকে প্রকাশ্য়ে মদ্যপান করতে দেখা গেছে। জানা যায়, ঋষি কাপুরের মদের নেশার জন্য একবার থানা পুলিশ করতে হয় নীতু সিংকে।
মণীষা কৈরালা
এককালে তাঁর মিষ্টতাতেই মাত হয়েছিলেন বহু পুরুষ। কিন্তু মনীষা কৈরালার জীবনে একটা সময় বাসা বাঁধে অবসাদ। আর তার জেরেই তিনি প্রবল ভাবে ধূমপানের নেশায় ডুবে যান। যদিও পরে এই নেশা থেকে নিজেকে মুক্তি করেছেন তিনি।
অর্জুন রামপাল
বলি পাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায়, অর্জুন রামপালের নেশার কথা। যেকোনও পার্টিতে তাঁর মদ্যপানের মাত্রা কত পর্যন্ত যায় তা বলিউডের সঙ্গে জড়িত সবারই জানা।
রণবীর কাপুর
শুধু ঋষি কাপুর নয়, তাঁর ছেলে রণবীরও মদ্যপানের বিষয়ে বেশ নাম করেছেন বলিউড চত্বরে। তবে কোনও দিনও মদ্যপান করে রণবীরকে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটাতে শোনা যায়নি।
সলমান খান
মদ্যপানের বিষয়ে কতবার বিতর্কে পড়েছেন তা গুণে বলা কঠিন। অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইকে মারধোর থেকে হিট অ্যান্ড রান -মামলার অভিযোগ, সব মিলিয়ে মদ্যপান করে সালমান বহু ঝড়ধঝাপ্টায় পড়েছেন।
শাহরুখ খান
খান মদ্যপানের জন্য় নয়, বরং ধুমপানের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি পরিচিত শাহরুখের। তিনি চেন স্মোকার হিসাবে এমনিতেই পরিচিত। তার ওপর যোগ হয়েছে তাঁর টানা ২০ ঘণ্টার কাজের চাপ। সব মিলিয়ে শাহরুখকে প্রচুর ছবিতেই ধূমপান করতে দেখা।