গ্রাম বাংলা ডেস্ক
ঢাকা: পাবনার আতাইকুল থানার পুষ্পপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের ৩ কর্মী এবং মাদারীপুরে টেকেরহাটে ২ জনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মাত্র পনের মিনিটের ব্যবধানে ওই পাঁচটি হত্যাকান্ড ঘটে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ও পৌনে ৯টার দিকে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পুষ্পপাড়া বাজার এলাকায় শ্রমীক লীগ এবং যুবলীগের ৩ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আরো ২জন আহত হয়েছেন।
আহতদের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ধর্মগ্রামের কামাল শিকদারের ছেলে সুলতান হোসেন (৪০), সাদেক প্রামানিকের ছেলে ফজলু (৩৫) ও পীরগাছা গ্রামের আফছারের ছেলে ছালাম মিয়া (৩৮)।
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুলতান, ছালাম ও ফজলুসহ আরো কয়েকজন বন্ধুমিলে দু’টি মোটরসাইকেলে করে পুষ্পপাড়া বাজারে আসছিলো। পথিমধ্যে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের ওই স্থানে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে।
এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুলতান, ফজলু ও ছালাম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ২ জন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাপদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ গ্রাম বাংলা নিউজকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। নিহত তিনজনই স্থানীয় শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন এ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেহাটে স্থানীয় আলীয়া মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মওলানা আবুল বাসারসহ (৫০) দু’জনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।