ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
তবে আশ্চর্যের বিষয় এ বছর ঢাকাই ছবির শাকিব খানকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ব্যাপক পরিমাণ খোঁজা হয়েছে। তালিকার শীর্ষে দশে ঢাকাই ছবির আর কোনো নায়ক নেই।
শাকিব খান নানাভাবে আলোচনায় আসেন চলতি বছর। প্রথম দফায় বাংলাদেশের পরিচালকদের ‘বেকার’ বলে নিষিদ্ধ হন। শাকিব খান সেসময় বলেছিলেন,‘এখন যেহেতু বেশি সিনেমা নির্মিত হচ্ছে না, তাই বেকার লোকের সংখ্যাও একটু বেশি। পরিচালক সমিতির তালিকায় দেখবেন অনেক পরিচালক। তারা বিএফডিসিতে আড্ডাও মারছেন, কিন্তু কাজ করছেন কতজন?’
এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রংবাজ ছবির শুটিং চালু রাখায় ছবিটির পরিচালক শামীম আহমেদ রনিও নিষিদ্ধ হন। অপু বিশ্বাসের টিভি পর্দায় হাজির হয়ে শাকিব খানের সাথে বিবাহের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলে শাকিবের সাময়িক সঙ্কট তৈরি হয়। নতুনভাবে এদেশের প্রথমশ্রেণির দর্শকদের চিন্তার মধ্যে স্থান পায় শাকিব খান।
স্বাভাবিকভাবেই অনলাইনে শাকিবকে সেসময় মানুষ নানাভাবে খুঁজে পায়।
নতুনভাবে খুঁজে পাওয়া শাকিব কিন্তু তখন আর ‘ট্রলড’ ছিলেন না। তখন শাকিব শিকারির কল্যাণে নিজেকে বদলে ফেলেছেন। এদেশের ‘নাক ছিটকানো’ প্রজন্মও মুগ্ধ হতে থাকে শাকিবে।
শাকিব খান কিছুদিন আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল্ড ছিলেন। বুঝে না বুঝে সোশ্যাল মিডিয়াবাসী শাকিবকে নিয়ে ট্রল করতেন। শাকিব কি করছেন, কেমন অভিনয় করছেন সে বিষয়ে কারো মনোযোগ ছিল না। অপু বিশ্বাস-শাকিব ইস্যুতে শাকিব আলোচনায় আসেন। এরপরই দেশের সবশ্রেণির মানুষ শাকিবকে নতুনভাবে।
কী পরিমাণ শাকিবকে খোঁজা হয়েছে তা গুগল ট্রেন্ডিং দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সর্বোচ্চ অনুসন্ধানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে শাকিব চতুর্থ। তবে ঢাকাই চলচ্চিত্রের কোনো নায়ক এ তালিকায় নেই। নয় নম্বরে রয়েছেন চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী। তবে ঢাকাই চলচ্চিত্র ঠেকে দুজনই প্রথম ও অদ্বিতীয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বীহীন।