ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
ডিমলায় নিখোঁজের ১ দিন পর জাহিদ হোসেন (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। শিশু জাহিদ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের শোসানের পাড় আশাদ আলীর পুত্র। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,শিশু জাহিদ তার নানীর বাড়ীতে ছোট থেকে বড় হয়েছে। তার মা তাকে রেখে তৃতীয় বিয়ে করে স্বামী সংসার করে অন্য বাড়িতে। শিশুটি তার নানীর বাড়িতে থাকতো গত (১১ ডিসেম্বর) সোমবার বিকেলে প্রতিদিনের মত বাড়ীর সামনে খেলাধুলা করছিল কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে আসলে বাড়ীতে না ফেরায় জাহিদের মামা আলিমুদ্দিনের বাড়ীসহ আশ-পাশের মুদীদোকানসহ এলাকায় সব জায়গায় অনেক খোজাখুজি করে এবং ওই গ্রামের অনেক মানুষজনের কাছে জাহিদের সন্ধ্যান চায় কিন্তু জাহিদের সন্ধ্যান আর মিলে না। মঙ্গলবার সকালে উক্ত এলাকাবাসী বাড়ী থেকে ৫শ গজ পূর্বদিকে একটি লেচু বাগানে শিশু জাহিদের লাশ গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখে রক্ত মাখা অবস্থায় পরে থাকা দেখে জাহিদের পরিবারে খবর দিলে নানী আলেমন বেগম, মামা আলিমুদ্দিন সেখানে গিয়ে শিশুটিকে সনাক্ত করে। পরে ডিমলা থানায় খবর দিলে ওসি তদন্ত মোঃ মফিজ উদ্দিন শেখ সঙ্গীয়ফোর্সসহ ঘটনাস্থল এসে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট করে লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত জন্য আগামীকাল জেলা মর্গে প্রেরণ করবেন। এ বিষয়ে ডিমলা থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে , এব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা কারা যাচ্ছে শিশুটিকে গলায় শাশ রোধ করে হত্যা করার পর ফেলে রেখে পালিছে র্দুবৃত্তরা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল ঘটনা বোঝা জাবে।
অপরদিকে শিশুটির মা, তৃতীয় বাবা ও বড় বোনের দেবর কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিমলা থানায় নিয়ে আসেন।
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন নাহার, ডিমলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম সরকার, বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল ইসলাম ভুইয়া। শিশু জাহিদের মৃত্যর জন্য এলাকায় শোখের ছায়া নেমে আসে।