আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি না আসলে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না।
আইনগতভাবে নির্বাচন কারো জন্যে থেমে থাকে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চলবেই। গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি না এলে নির্বাচন তো বন্ধ থাকতে পারে না। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে গণতন্ত্রের কী দোষ ?
মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সকালে যশোর-খুলনা মহাসড়ক পরিদর্শন করে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনে না আসার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। এটাকে তারা পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। তাহলে তারা আরও সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে বিএনপি আসুক। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন কোনো নির্বাচন আমরা করতে চাইনি। কিন্তু বিএনপি একটা পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। আসবো আসবো করে বিএনপি ৫জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একটা প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারসহ সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য শেষে মন্ত্রী সড়ক পথে সাতক্ষীরার দলীয় সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি ও জনসভায় যোগদানের উদ্দেশে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে তিনি মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে একটি পথসভায় ঊক্তব্য রাখেন। এখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী-লীগের প্রতিনিধি সভা এবং দলীয় নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের । আজ দুপুরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, আওয়ামী-লীগ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা দল। বাংলাদেশের ইতিহাস তাই আওয়ামী-লীগের সংগ্রামী ইতিহাস।
জেলা আওয়ামী-লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী-লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী-লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
আওয়ামী-লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী-লীগ ও বিএনপি দুটি ভিন্ন আদর্শের দল। আওয়ামী-লীগ গণতন্ত্রের জন্য লড়াকু দল। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টোনমেন্টে। সন্ত্রাস, জঙ্গী তৎপরতায় মদদদানকারীসহ নানা অপকর্ম সৃষ্টিকারী দল। তারা আন্দোলনের হুমকি দেয়। কিন্তু মিছিল করার ক্ষমতা নেই।
তিনি আওয়ামী-লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করার এবং দেশের জনগণকে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।