রাজনীতির ময়দানে লক্ষণীয় কোনো কর্মসূচি না থাকলেও মাঠ গরমের আলামত স্পষ্ট। দেশ রক্ষায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনরুদ্ধারে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সংহতকরণ প্রক্রিয়া সক্রিয় রয়েছে বলে পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট আন্দোলন না হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে প্রায় সপ্তাহখানেক কর্মসূচি পালিত হলেও সে পরিস্থিতি নতুন মোড় নিচ্ছে বলে মনেকরার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের কর্মসূচি আদালতের রায়ের ওপরই নির্ভরশীল। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ভর করে সরকারি কর্মপন্থার ওপর।
সে বিবেচনায় সরকারে রাজনীতি সঠিক খাতে থাকলে অন্যদেরও ভিন্নপথে চলার কোনো অবকাশ থাকে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক রিপোর্টে বলা হয়েছে, যতদ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচনের দাবি আদায় করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ। বলা হচ্ছে, যে প্রক্রিয়ায় যেভাবেই হোক নির্বাচন হয়ে যাবার পর এখন বিএনপির মূল ফোকাস হচ্ছে, সবার অংশগ্রহণে দ্রুত একটি নির্বাচন। আলোচ্য নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী হতে হলে দলনিরপেক্ষ হওয়া একান্ত বাঞ্চনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাইও জানতে চেয়েছেন আগামী নির্বাচনের তারিখ। নির্বাচন ভাবনা সরকারি দলেও রয়েছে। তার প্রকৃতি ও স্বরূপ নিয়েই মূল প্রসঙ্গ।
গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে দলের ও জোটের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, মার্চ ফর ডেমোক্রেসির কর্মসূচি থেকে সরে আসা ভুল ছিল। কার্যত তিনি এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার’ ব্যাখ্যা প্রদানের পর। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব মহলই জ্ঞাত যেকোনো পর্যায়ে কোনো বিশেষ বাস্তবতায় মার্চ ফর ডেমোক্রেসির কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সে আলোচনার পূর্ণ বিবরণ না তুলে ধরলেও একথা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই যে, বর্তমান সময়ে যে আলোচনা চলছে তা কার্যত সে ধারার সঙ্গেই সূত্রবদ্ধ। ৫ জানুয়ারির পোকায় খাওয়া নির্বাচনের পর যদি সরকার জাতীয় আকাঙ্কার অনুবর্তী একটি নির্বাচনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতো তাহলে হয়ত নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না বা এর কোনো প্রয়োজনও দেখা দিত না। সরকারি জোটের জাতীয় পার্টি প্রধান যখন আগামী নির্বচনে ১৫১ আসনের প্রত্যাশা করছেন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৭০ আসন ছেড়ে দেয়ার জন্য বেদনা অনুভব করছেন তখন সরকারি ভাবনায় নির্বাচন প্রসঙ্গকে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এই রাজনৈতিক ভাবনার ভিন্নমাত্রিকতাও যে থাকতে পারে সে ভাবনাও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। ভাবনার আলামত পাওয়া যায় পার্টি প্রধানের বক্তব্যের মধ্য দিয়েও। চট্টগ্রামের জনসভায় তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবক বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার কারণে তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে গিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষণের আগে এতটুকু স্মরণ করিয়ে দেয়া বোধ হয় অন্যায় নয় যে, বর্তমান সময়ে যে আদালতিক কর্মকাণ্ড চলছে তাতে তার মন্ত্রিসভা সদস্যের বিচারও চলছে। শুধু তার নয় সরকারি দল করেছে এমন রাজনীতিকেরও মুত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আগের আওয়ামী মন্ত্রিসভায়ও অনুরূপ অভিযুক্তরা ছিলেন। শাহ আজিজুর রহমান সম্পর্কে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের শীর্ষ নেতা কেমন ধারণা পোষণ করতেন সে আলোচনা ৭১-এর মাঠ কাঁপানো ছাত্রনেতা নুরে আলম সিদ্দীকিও তার লেখায় এবং আলাপচারিতায় উল্লেখ করেছেন।
শাহ্ আজিজুর রহমানকে রাজনৈতক সুবিধা প্রদানের বিবেচনার আলোচনা ঐতিহাসিক নিবন্ধগুলোতেও স্থান পেয়েছে। তাহলে তিনি কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রহিত হয়ে এ চিন্তা ও কাজ করেছিলেন? এই আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গিগত বিশ্লেষণের আগে এটুকু উল্লেখ করা দরকার প্রকৃতপক্ষে মূল্যবোধের চর্চাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ধারার বিপক্ষে অবস্থানকারীদের সাথেই গলা মিলিয়েছেন জাতীয় পার্টি প্রধান- যা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করার সংগত কারণ রয়েছে।
যে সূত্র ধরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার চরিত্র হননের অপচেষ্টা হয়েছে তার সাথে দৃষ্টিভঙ্গিগত আলোচনাকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এখানে দেশপ্রেমের যে সংজ্ঞা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিবেচনায় গ্রহণ করা হয়েছিল বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তার সঙ্গে ভিন্নতা সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট জিয়া যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেখানে বিভাজন রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কার্যত সরকারও সরকারপন্থী এবং জনগণের মধ্যে পার্থক্য দৃশ্যমান হয়েছে। এর রাজনৈতিক বিশ্লেষণই হচ্ছে, সব দলের অংশগ্রহণভিত্তিক জাতীয় নির্বাচনের দাবি। একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেই যেখানে সরকার ভয় পাচ্ছে সেখানে গ্রহণযোগ্য সরকারের দাবি না করে নির্বচনের আসন নিয়ে ভাবনার অর্থ যদি পুনরায় পোকায় খাওয়া নির্বাচনের ভাবনা তা হলে কোন বিবেচনাতেই তাকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রসূত বলা যাবে না। কার্যত এখন সবারই ভাববার সময় এসেছে অগ্রণযোগ্য নির্বাচনের কারণে দেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।
কারো মুখের দিকে না তাকিয়ে শিক্ষাঙ্গণে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই নির্দেশ দিলেন কার্যত শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর। দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর তনয়ও শিক্ষাঙ্গণকে সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে কোনোধরনের ছাড় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষে জড়িতদের মধ্যে কারা ছাত্রলীগের কারা নয় এনিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব ও প্রবীণ আওয়ামী লীগাররাও। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সম্পর্কে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কমপক্ষে ১০জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। প্রাসঙ্গিক আলোচনায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কথা দিয়েছিলেন আমরা আর ভুল করবো না। ৩১ আগস্টের অঙ্গীকার ভেঙে গেল নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সঙ্গত বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, তাহলে এতদিন কি কারো মুখের দিকে তাকিয়ে এসব সহ্য করা হয়েছে। নাকি এমন কেউ রয়েছে যার কথা ফেলে দেয়া সম্ভব হয়নি। এই মুখ বা মুখগুলোর ভাবনাই অনেকদিন থেকে হয়ে আসছে।
অতি সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দা রিপোটে পুলিশে শৃঙ্খলাভঙ্গের উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। একশ্রেণীর পুলিশের নিয়ে নানা গুরুতর অভিযোগের কথাও বলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করণের বিষয়টি কার্যত ওইসব মুখের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যাদের দিকে না তাকাতে হয়ত প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। গোয়েন্দা রিপোর্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভ্যন্তরীণ মনস্তাত্তিক বিতর্কের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যার ঘটনায়ও তার প্রভাব মিলেছে। হতে পারে এইচ টি ইমাম ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যে তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তার নানা প্রভাব এসব ক্ষেত্রেও রয়েছে। গতকিছুদিনে সরকারিদলের আন্তঃবিরোধ যেভাবে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে তার নেতিবাচক প্রভাব সর্বত্রই পড়তে শুরু করেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণীতে অবস্থা তুলে ধরা যাক। মীরপুর থেকে মতিঝিলে তিনি আসছিলেন হাজী ট্রান্সপোর্টে।কিছুদুর আসার পরই হঠাৎ একজন দেখিয়ে দেবার হুমকি দিয়ে বলল চল শাহবাগ। কিন্তু কেন বোঝা গেল না। এরপর জাত-অজাত নানা আলোচনা তোলার পর বাসের সংশ্লিষ্টরা অনেকটা হাতে-পায়ে ধরে নিস্তর পেল। খানিক পর ফার্ম গেইটের পর আরেকজন অন্য প্রসঙ্গ ধরে চালকের গায়ে হাত তুলেই খান্ত হয়নি প্রেস ক্লাবের সামনে গাড়ি অবরুদ্ধ করে দিল। সঙ্গে আরো দু’একজন জুটলো। বাসের সব যাত্রী জিম্মি হয়ে গেল কারণ চালক চালাতে সাহস পায়নি। পুনরায় হাত-পা ধরে কোনোভাবে গন্তব্যে পৌঁছা গেল। তিনি প্রশ্ন করলেন এভাবে কতদিন? সরকারি দলের কোনো কোনো মহল যখন আস্কারা পাচ্ছে তখন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক চার্জ গঠন করা হচ্ছে। হত্যা বিস্ফোরণ ভাংচুর অগ্নি সংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার পাশাপাশি রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ।
মামলার জালে আটকা রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জিয়া পরিবারের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলন কর্মসূচি পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারে এমন প্রায় সব নেতাই বড় ধরনের হুমকির মধ্যে রয়েছেন। বাসে ট্রেনে লঞ্চে যেখানেই উঠুন টি-স্টল অথবা খাবারের দোকান যেখানেই বসুন প্রতি তিনজনের একজনকে মোবাইলে মামলা গ্রেফতার জামিন এসব নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যাবে। সম্প্রতি ফাঁসিতে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা কাদের মোল্লার বিভিউর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রিভিউর সুযোগ রাখা রয়েছে। এই রিভিউর অধিকার নিয়ে আইনমন্ত্রী ও দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বারবার বলছিলেন কোনো রিভিউর সুযোগ নেই। সংশিষ্টদের আইনজ্ঞানের পর আইনের শাসন সুশাসন মানবাধিকার নিয়ে অন্যকোনো আলোচনা না করাই বোধহয় উত্তম।
৫ জানুয়ারির পোকায় খাওয়া অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পর প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলছে। রাজনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী ওই নির্বাচনের পরপরই গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে আরেকটি নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রস্তুতি না থাকাতেই কার্যকর নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়নের চাপ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দিনদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যাই করা হোক না কেন একের পর এক সরকারি দলের বিরুদ্ধে জনরোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এক ধরনের কৌশল নেয়ার চেষ্টা করছে। বাস্তবতা হলো সরকারি পক্ষ হালকা হচ্ছে। বিরোধী পক্ষ শক্তিশালী হচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় লতিফ সিদ্দকী ইস্যু মোকাবিলা করার চেষ্টা হয়েছে তাতে প্রকারন্তরে মিঃ সিদ্দিকীর প্রতি সরকারের পক্ষপাতিত্বের বিষয়ই ধরা পড়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও সকারের অবস্থান রহস্যজনক।কাদের মুখের দিকে তাকিয়ে শিক্ষামন্ত্রী অসহায় তা স্পষ্ট নয়। তবে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। বাস্তবতা হোল আওয়ামী সরকারের আমলে পরীক্ষা প্রশ্ন পত্র নিয়ে যা যা করা হচ্ছে তাতে এ প্রশ্ন সংগতভাবেই উঠেছে, সরকারের কোনো মহল কি জাতি ধ্বংসে বিদেশি কোনো অ্যাসাইনমেন্ট পালন করছে।
একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংলাপ অথবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো ফয়সালা হয়নি হবার লক্ষণও নেই। অন্যদিকে সব দলের অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার কারণে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিপর্যয়ের মুখোমুখি। শিল্প শিক্ষা অর্থনীতি ব্যবসা-বণিজ্য সবকিছুই হুমকির মুখে পড়েছে বা পড়তে যাচ্ছে। যেভাবেই বিশ্লেষণ করা যাক না কেন একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সব দলে অংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচনই এখন এক নম্বর ইস্যু। একে কারো পক্ষেই পাশ কাটিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রশ্ন ইঠতে পারে খাদের বাঁচাতে কাদের মুখের দিকে তাকিয়ে অনিবার্য বাস্তবতাকে অস্বীকার করা হচ্ছে।