মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের দাবানল বেড়েই চলেছে। প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল থামার কোনো লক্ষণ নেই। বর্তমান দাবানলে নিউ ইয়র্ক শহরের প্রায় সমান এলাকা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, বাড়ি-ঘরসহ প্রায় শত শথ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে দাবানলে। একইভাবে পুড়ছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।
বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন বাসিন্দারা। রাজ্যের গভর্নর বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েকমাস আগেই ক্যালিফের্নিয়ায় ইতিহাসের অন্যতম বড় দাবানল আঘাত হানে। এতে বহু প্রাণহানীও ঘটে।
গত সোমবার থেকে এখনো পর্যন্ত ভেঞ্চুরা সংলগ্ন সোয়া লাখ একর জঙ্গল গ্রাস করেছে ‘টমাস ফায়ার। এই দাবানল দমনেই নিয়োজিত ৪ হাজার দমকলকর্মী।
জোরালো বাতাসে আগুন বাড়ে। দাবানলও এ কারণে বাতাস বাড়লে বৃদ্ধি পায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় শুষ্ক ও শক্তিশালী বাতাসের জেরে ক্রমশ বাড়ছে দাবানলের তীব্রতা। শনিবার বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও রবিবার আবার বাড়তে থাকে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্ণর জেরি ব্রাউন বিজ্ঞানীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এই দাবানলের আবির্ভাব। আমাদের দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রচুর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দরকার।
এক দমকল কর্মী জানান, দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। নতুন নতুন এলাকায় দাবানলের খবর আসছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘টমাস ফায়ারে’ ৭৫টি বাড়ি পুড়ে গেছে। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে ভেঞ্চুরা ও সান্টা পাওলা কাউন্টিতে। এলাকার সাড়ে সাত হাজার বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ মানুষকে নিরাপদে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। চেষ্টা সত্ত্বেও দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভেঞ্চুরা কাউন্টির দমকল প্রধান মার্ক লরেনজেন। হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চললেও রাতের দিকে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় হেলিকপ্টার ফিরিয়ে আনা হয়।
সূত্র : বিবিসি