সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের ‘অবৈধ সম্পদের’ যে অভিযোগ উঠেছে, তা জেনেশুনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে যে কথা বের হয়, সেটা তিনি সঠিকভাবে জেনেই বলেন। তিনি তো না জেনে, না শুনে অন্ধকারে ঢিল ছোড়েননি। ’
গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি দুদককে আহ্বান জানিয়েছি। দুদক অবশ্যই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে। শূন্যের ওপর তো তদন্ত হয় না। এই দুর্নীতির খবর যেহেতু রাজনৈতিক অঙ্গনে এসে গেছে। দুদককে খোঁজখবর নিতে হবে। ’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের আদালতে প্রমাণিত হয়েছে এবং এফবিআই বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে এ সত্য গোপন রেখে আপনার কি লাভ? এখন গাত্রদাহ! ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। ফান্দে পড়ে গেছে।
চোরের মায়ের বড় গলা। দুর্নীতির দুর্গন্ধ আবারও ছড়িয়ে পড়েছে। সত্য কোনো দিন চাপা থাকে না। ওই ৩০০ স্যুটকেস কল্পকাহিনী নয়, দিবালোকের মতো সত্য। সৌদি আরবে যেতে এয়ারপোর্ট দিয়ে ৩০০ স্যুটকেস পাচার! ভেতরে কি ১২ মিলিয়ন ডলার ছিল?’বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ নিয়ে যতই ঘাঁটাঘাঁটি করবেন। যতই ময়লা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করবেন, ততই দুর্গন্ধ ছড়াবে। আরো দুর্গন্ধ ছড়াবে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে যারা বিজয়ের বিরুদ্ধে বিজয়, যারা নায়কের বিরুদ্ধে খলনায়ককে উপস্থাপন করে, তারা বিজয়ের আদর্শ থেকে লক্ষ্যচ্যুত হয়ে গেছে। যারা বিজয় দিবস মানে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে মানে না, তারা বিজয়ের আদর্শে আছে আমরা এটা মনে করি না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ মানি কিন্তু; মুক্তিযুদ্ধের নেতা বঙ্গবন্ধুকে মানি না, এরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। ’