আজকাল চুল পড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা কার নেই? কমবেশি সকলেই এটা নিয়ে দিশাহারা। এত কিছু করেন, তবু যেন চুলগুলোকে রক্ষা করা যায় না। আর ফলাফল হচ্ছে অকালে চুল পড়ে টেকো হয়ে যাওয়া। আপনার সাধের চুলগুলোকে কীভাবে বাঁচাবেন? কীভাবে মাথায় নতুন চুল গজাবেন? সমাধান আছে হাতের নাগালেই। না, দামী দামী ওষুধ আর পার্লারের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন নেই। আপনার মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করবে একটি সাধারণ ও অল্প মূল্যের তেল। শুধু চুল নয়, চোখের পাপড়ি আর ভ্রু ঘন করতেও এই তেল দারুণ কার্যকরী!
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আমরা বলছি ক্যাস্টর অয়েলের কথা। ক্যাস্টর অয়েল কোন অপরিচিত জিনিস নয়, বরং অনেকেই চেনেন। কিন্তু এটা জানেন না যে নতুন চুল গজাতে এই তেল দারুণ উপকারী। ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক এসিড যা নতুন চুল, ভ্রু, চোখের পাপড়ি গজাতে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও চুলের রুক্ষ্মতা দূর করে চুলকে মোলায়েম করে তুলতে সহায়তা করে এই তেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ক্যাস্টর অয়েল একটানা ব্যবহার করলে হবে না, করতে হবে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে একদিন করে টানা ৮ সপ্তাহ ব্যবহার করুন এই তেল। ক্যাস্টর অয়েল মধুর মত ঘন, প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হতেই পারে।
ব্যবহার করার পদ্ধতি বেশ সোজা। ক্যাস্টর অয়েল নিন, এতে যোগ করতে পারেন একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরকার তরল। চুল লম্বা হলে একাধিক ক্যাপসুল দিন। এরপর এত তেল রাতে ঘুমাবার আগে ভালো করে মাথায় মাখুন। বিশেষ করে চুলের গোঁড়ার ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। সারারাত এই তেল চুলে থাকতে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কোন বাড়তি কন্ডিশনার লাগবে না।
কোথায় পাবেন, কেমন দাম?
যে কোন ফার্মেসীতে ও সুপারশপে ক্যাস্টর অয়েল পাবেন আপনি। দেশি-বিদেশি দুই রকমই পাওয়া যায়। দেশি তেলগুলো দামে বেশ সস্তা। মোটামুটি ১০০ টাকার কমে আপনি এক বোতল পাবেন যা ব্যবহার করতে পারবেন ১ মাস! বিদেশিগুলোর দাম একটু বেশি। মানেও একটু ভালো।
তাহলে আর দেরি কেন, চুলের জন্য বাড়তি চর্চা শুরু করে যাক আজই। পাতলা হয়ে যাওয়া চুলগুলো আবার হয়ে উঠুক ঘন।
(যাদের বংশগত কারণে বা কোন অসুখের জন্য টাক পড়ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কোন চিকিৎসাই কাজে দেবে না। প্রয়োজন আগে অসুখের চিকিৎসা। যাদের চুল পড়ছে স্ট্রেস, যত্নের অভাব, ভুল প্রসাধন ইত্যাদি কারণে; তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজে দেবে।)