রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আবারো বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিমধ্যে এগিয়ে এসেছে। তবে সকলকে আরো বেশী সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনফারেন্সের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘প্রমোটিং ইকুয়ালিটি, জাস্টিস অ্যান্ড হিউম্যান ডিগনিটি’ শীর্ষক এই কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেস্টাইন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নজরুল ইসলাম।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্ততৃায় স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি মানাবিক কারণে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবতার এ নির্দশন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ববাসীর কাছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৫ দফা সুপারিশের আলোকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তাঁর অবিংসবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধানের তৃতীয়ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সংযোজন করা হয়। সেই আলোকে বর্তমান সরকার জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার সুরক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি সুন্দর-শান্তিময় আগামী নিশ্চিতের জন্য ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ গড়ারও আহ্বান জানান।
দুই দিনের এই কনফারেন্স বাংলাদেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের মানবাধিকার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন।