ইভাঙ্কা ট্রাম্পের এই অজানা তথ্যগুলি জানেন কি!

Slider লাইফস্টাইল

BEVERLY HILLS, CA - JANUARY 15:  Socialite Ivanka Trump arrives at the NBC/Universal Golden Globe After Party held at the Beverly Hilton on January 15, 2007 in Beverly Hills, California.  (Photo by Frazer Harrison/Getty Images)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কন্যা ইভাঙ্কাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে পরিচিত। বাবাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য লড়তে তিনিই রাজি করিয়েছিলেন।

সব সমালোচনাকে সামলে ট্রাম্পকে সাহস জুগিয়েছেন তিনিই। যৌবনে করেছেন মডেলিং। আবার বাবার ব্যবসা সামলাতেও সমান পারদর্শী ইভাঙ্কা। এমন বিস্ময়কর নারীর জীবন নিয়ে কিছু অজানা জরুরি তথ্য জেনে নেওয়া যাক একনজরে।

ইভাঙ্কার জন্ম
১৯৮১ সালের ৩০ অক্টোবর নিউ ইয়র্কে জন্ম হয় ইভাঙ্কা ট্রাম্পের। তাঁর মায়ের নাম মেরি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ৪৫তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় ছিলেন না তাঁর মা। কারণ দশ বছর আগেই ট্রাম্প ও মেরির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। মেরি পেশায় মডেল ছিলেন।

পরিবার
ইভাঙ্কার দুই ভাই রয়েছেন। একজন হলেন ডোনাল্ড জুনিয়র ও অন্যজন এরিক। আর সৎ ভাই-বোন ব্যারন ও টিফানি।

ভাষায় পারদর্শীতা
ইংরেজি ছাড়াও ফরাসি ভাষায় পারদর্শীতা রয়েছে ইভাঙ্কার। দুটি ভাষাতেই সমান দক্ষতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। পেনসিলভানিয়া থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। পড়াশোনায়ও সবসময়ই অগ্রণী থেকেছেন।

বাবার সংস্থায় কাজ
বাবার সংস্থা দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কার্যকরী সহ সভাপতি ইভাঙ্কা। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে সবকিছুই তিনি একা হাতে সামলাচ্ছেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। শুধু ব্যবসা সামলানোই নয়, দুটি বইও লিখেছেন ইভাঙ্কা। সেগুলির নাম- ‘দ্য ট্রাম্প কার্ড : প্লেয়িং টু উইন ইন ওয়ার্ক’ ও ‘লাইফ অ্যান্ড উইমেন হু ওয়ার্ক : রিরাইটিং দ্য রুলস ফর সাকসেস’।

নির্বাচনে সাহায্য
২০১৫ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে হাত লাগান ইভাঙ্কা। পরে ডোনাল্ড রাষ্ট্রপতি হয়ে হোয়াইট হাউসে এলে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বাবার পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছেন ইভাঙ্কা। তবে এই কাজের জন্য কোনও বেতন নেন না তিনি।

ইভাঙ্কার বিয়ে
জেরার্ড কুশনারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ইভাঙ্কার। কুশনার একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার। বর্তমানে তিনিও ট্রাম্পের সিনিয়র অ্যাডভাইজার হিসাবে কাজ করছেন। কুশনার দম্পতির একটি মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।

খ্রিস্টান থেকে ইহুদী
ছোট থেকে খ্রিস্টান ভাবধারায় মানুষ ইভাঙ্কা বিয়ের আগে ২০০৯ সালে ধর্ম পাল্টে ইহুদী ভাবধারা গ্রহণ করেন। কারণ জেরার্ড কুশনার একজন ইহুদী। ইভাঙ্কার ইহুদী নাম ইয়েল। এই বছরে ফোর্বসের সবচেয়ে শক্তিশালী নারীদের তালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছেন ইভাঙ্কা।

ফ্যাশন দুনিয়া মাতানো
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ফ্যাশন দুনিয়ায় পা রাখেন ইভাঙ্কা। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ম্যাগাজিনের কভার পাতায় ছবি বেরোয় ইভাঙ্কার। স্যাসন জিনস থেকে শুরু করে টমি হিলফিগার সহ নানা ব্র্যান্ডের প্রচার করেছেন তিনি। হার্পার বাজার, ফোবর্স, গলফ ম্যাগাজিনের কভারেও দেখা গিয়েছে ইভাঙ্কাকে।

ইভাঙ্কার আসল নাম
ইভাঙ্কার আসল নামও তাঁর মায়ের মতোই ইভানা। তবে পরে তা পাল্টে সরকারি কাজে ব্যবহারের সুবিধার জন্য ইভাঙ্কা করা হয়েছে। তাঁর তৈরি ব্র্যান্ডের নাম ‘উইমেন হু ওয়ার্ক’।

নিজস্ব ব্র্যান্ড
নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড রয়েছে ইভাঙ্কার। যেদিন থেকে তিনি নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড চালু করেছেন, সেদিন থেকেই তিনি অন্য কোনও ব্র্যান্ডের জামাকাপড় এমনকি জুতা পর্যন্ত কিনে পরেন না বলে জানিয়েছেন ইভাঙ্কা ঘনিষ্ঠরা। কারণ জুতারও আলাদা ব্র্যান্ড রয়েছে ইভাঙ্কার সংস্থার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *