আগামী রবিবার যশোরে সদ্য নির্মিত ‘শেখ হাসিনা সফটওয়ার’ প্রযুক্তি পার্কটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রায় ১২ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সফটওয়ার প্রযুক্তি পার্কটি উদ্বোধন করবেন। এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
সফটওয়ার প্রযুক্তি পার্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বলেন, এই পার্কের মূল ভবনে প্রায় ৫৫টি কম্পানিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাপানের দুটি কম্পানিও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এর অংশ হিসেবে কম্পানি চালু করতে বিনামূল্যে তরুণদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গির আলম আরো বলেন, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলাকে টার্গেট করে যশোরে এই সফটওয়ার প্রযুক্তি পার্কটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে দেশি ও বিদেশি আইটি শিল্প প্রতিষ্ঠান এই পার্কে বিনিয়োগ করতে পারবে। এই পার্কে সফটওয়ার উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, কলসেন্টার, গবেষণা এবং উন্নয়ন কাজ করা যাবে।
প্রকল্পের সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১০ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করার সময়ে যশোরে আন্তর্জাতিক মানের একটি আইটি পার্ক স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তাঁর এই ঘোষণার আলোকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শহরের শংকরপুর এলাকায় বেপজায় আইটি পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পার্কে ১৫তলা এমটিবি ভবন, ১২তলা বিশিষ্ট ফাইভ স্টার মানের ডরমোটরি ভবন, রাষ্ট্র পরিচালিত আর্ট কনভেনশন সেন্টার এবং আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কসহ সকল প্রকার আধুনিক সুবিধাসম্বলিত প্রায় ২.৩২ লাখ বর্গফুট স্পেস থাকবে। প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুট স্পেস থাকবে।
জানা গেছে, জাপানি ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমোটরি ভবনের ১১তলা আন্তর্জাতিক মানের জিম করা হয়েছে। পুরো ভবনটি নির্মিত হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধে সক্ষম নির্মাণ কাঠামো দিয়ে। পাশাপাশি আইটি পার্কে একটি ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাবষ্টেশন থাকবে। গত ৫ অক্টোবর এই পার্কে একটি আইটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩০টি আইটি ফার্ম অংশ নেয়।
আইটি পার্কটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে গত বুধবার স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রেজা রাব্বী এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।