প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটে ত্রুটির ঘটনার মামলায় বাংলাদেশ বিমানের সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিববন্ধন কর্মকর্তা এসঅাই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিকেলে পাওয়া গেছে। শুনানির নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
অব্যাহতিপ্রাপ্তদের মধ্য আছেন প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, প্রকৌশল কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, প্রকৌশল কর্মকর্তা মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, প্রকৌশল কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক এবং প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটির বিষয়ে গঠিত পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, এটা ‘মানবসৃষ্ট’। এটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলা বা অদক্ষতা, নাকি নাশকতার চেষ্টা ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের প্রকৌশল শাখাসহ প্রতিটি স্তরে অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ ঘটনায় ফৌজদারি মামলা করার ব্যাপারে ১৯ ডিসেম্বর সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় প্রকৌশল বিভাগের নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়, যার কারণে সেটি তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। পরে অপর একটি বিমান পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বুদাপেস্টে পৌঁছানো হয়।