চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস শাকিব খানের ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত মানেন না বলে জানিয়েছেন। একই সাথে বলেছেন, মামলা না করে তিনি স্বামী এবং সুংসার দুটোই চান।
গত সোমবার চিত্রনায়িকা ও স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠান নায়ক শাকিব খান। সেদিন বিষয়টি টক অব দ কান্ট্রিতে পরিণত হয়। সেদিন অপু বিশ্বাস কথা না বললেও পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
শাকিব দেশের বাইরে থাকায় আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়েছে। নোটিশে শাকিব দু’টি কারণ দেখিয়েছেন। শাকিব অভিযোগ করেছেন, অপু তাদের সন্তানকে কাজের লোকের কাছে রেখে ‘কথিত’ বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় অভিযোগে শাকিব জানিয়েছেনে, অপু তার কোনো নির্দেশ মেনে চলেন না। তাই তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান।
আইনজীবী জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় এ তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তবে এ তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর।
তবে অপু এ তালাক মানতে নারাজ। আমি স্বামী, সংসার দুটোই চাই। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের পথ থাকবে ততক্ষণ আইনের দ্বারস্থ হব না। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন এই অভিনেত্রী।
অপু বলেন, আজকে আমি অপু বিশ্বাস বাংলাদেশে একটা পরিচিত মুখ। আমার সাথে আমার ঘরে অবিচার হচ্ছে, তাহলে অন্য সাধারণ নারীরা, যারা অপু বিশ্বাস না, তাদের কী অবস্থা হচ্ছে ভাবুন একবার। এজন্যই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
অপু বিশ্বাস ধর্মান্তরিত হয়ে অপু বিশ্বাস থেকে অপু ইসলাম খান নাম ধারণ করেন। কিন্তু তারপরেও সবখানে কেন বিশ্বাস ব্যবহৃত হচ্ছে-শাকিবের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপু বলেন, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট থেকে শুরু করে সব জায়গায় ‘অপু বিশ্বাস’ নাম রয়ে গেছে। এসব বদলাতেতো সময়ের দরকার। শাকিব আমার সঙ্গে কথা সব ঠিক করলে এসব ক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা হবার কথা ছিল না। এখন সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে শাকিব ও জয়কে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।
শাকিব-অপুর বিয়ে হয় ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। কিন্তু ৯ বছর বিয়ের খবর গোপন রাখেন এই তারকা জুটি। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সী ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অপু। এরপর দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয় ইস্যুটি নিয়ে।