রাজধানীর উত্তরা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে একটি পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তাসহ দুজনকে মারধর করে ৪০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা কুড়িল বিশ্বরোডে ওই দুজনকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে।
আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন টোকিও মুড নামে ওই পোশাক কারখানার কর্মকর্তা রাসেল হাওলাদার।
রাসেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কারখানায় কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। এ জন্য আজ বেলা একটার দিকে উত্তরার কার্যালয় থেকে মাইক্রোবাসে করে পাশের ১৩ নম্বর সড়কে ঢাকা ব্যাংকের শাখায় যান টোকিও মুডের হিসাবরক্ষক সাঈদ মাহমুদ আল ফিরোজ। ৪০ লাখ টাকা তুলে তিনি ও চালক রবি একই মাইক্রোবাসে করে কার্যালয়ে ফিরছিলেন। বেলা দুইটার দিকে ১২ নম্বর সড়কে উত্তরা ক্লাবের সামনে আসার পর যানজটে আটকা পড়ে তাঁদের গাড়িটি। এ সময় পাঁচ-ছয়জন লোক গাড়ির সামনে আসে। তাদের সঙ্গে ছিল ওয়াকিটকি, রিভলবার ও হাতকড়া। ডিবি পরিচয় দিয়ে দলের একজন জানান যে গাড়ির ভেতর অবৈধ মালামাল রয়েছে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাঈদকে দুর্বৃত্তদের আরেক সদস্য ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলে। একপর্যায়ে তারা মাইক্রোবাসের কাচের ফাঁক দিয়ে দরজা খুলে ফেলে। তারা সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে ঢুকে সাঈদ ও চালক রবিকে হাতকড়া পরায়। আরেকজন মাইক্রোবাসটি চালিয়ে কুড়িল বিশ্বরোডে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে তাঁদের মারধর করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ৪০ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন সেট, মাইক্রোবাসের কাগজপত্র কেড়ে নেয়। কুড়িল বিশ্বরোডে নিয়ে সাঈদ ও রবিকে ফেলে দিয়ে আরেকটি গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়।
ঢাকা ব্যাংক সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুর্বৃত্তদের একজনকে দেখা গেছে। এসব বিষয় জানিয়ে মামলা করা হবে বলে জানান রাসেল হাওলাদার। তিনি বলেন, সাঈদ ঢাকা ব্যাংক থেকে বের হাওয়ার আগে এক ব্যক্তি সেখান থেকে বের হয়ে আসে। ওই ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ধারী দলটির সঙ্গে ছিল বলে মাইক্রোবাসের চালক রবি জানিয়েছেন।
তবে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনায় মামলা হয়নি বলে জানান বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া। তিনি বলেন, অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।