সম্পাদকীয়: “স্বৈরাচার পতন” দিবস কি যৌক্তিক!

Slider টপ নিউজ বিচিত্র সম্পাদকীয় সারাদেশ

images

 

 

 

 

 

স্বৈরাচার বলতে বুঝায় নিজের ইচ্ছামত কাজ করা। যে স্বৈরাচার করে তাকে বলা হয় স্বৈরশাসক বা স্বৈরাচারী। আমরা স্বৈরাচার শব্দটি কি অর্থে ব্যবহার করছি জানিনা। তবে এই টুকু বলা যায়, জোরপূর্বক বা কৌশলে রাষ্ট্রের মালিক জনগনের সম্মতি আদায় করে বা সম্মতি ছাড়াই  ক্ষমতায় থাকার নাম  স্বৈরাচার হতে পারে। এই ক্ষেত্রে এরশাদ সাহেব যা করেছেন তার বিপরীতে ৯০ এর গণআন্দোলনে রাজপথে থাকা জোটও সেই কাজটিই  করেছে। কারণ ৯৬ সালে বিএনপি ও ১৪ সালে আওয়ামীলীগ সেই কাজটিই করেছে। সুতরাং সহজেই প্রশ্ন এসে যায় তাহলে এরশাদ সাহেবকে কেন স্বৈরাচার বলা হবে!

১৯৯০ সালের আজকের দিনে গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত সহ সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। ৯০ এর গণআন্দোলনের ফসল আমরা ঘরে তুলতে পারিনি। কারণ, যাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলাম আমরা,  তিনিই এখন ক্ষমতায়।

সুতরাং স্বৈারাচার পতন কথাটি এখন আর তেমন অর্থবহ নয়। কারণ যে গণআন্দোলন আমরা করেছিলাম, তা  আজকে অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে। ওই গণআন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের রক্তের দাম আমরা দিতে পারিনি। পরিশোধ করতে পারিনি তাদের রক্তের ঋন।

জনগনের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা ৯০ সালে গণআন্দোলন করেছিলাম। নূর হোসেন ও ডাঃ মিলন শহীদ হয়েছিলেন ওই আন্দোলনে। আজকের সময়ে যখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায়, তখন নূর হোসেনরা জীবিত থাকলে কি বলতেন জানিনা। তবে এই টুকু আন্দাজ করা যায়, তারা ধিক্কার দিতেন আমাদের। কারণ তাদের দ্বারা বিতারিত সরকার প্রধান যখন ক্ষমতায়, তখন তারা লজ্জ্বা ছাড়া আর কি দিতেন?

90-revolution-5-1

 

 

 

 

এমতাবস্থায়, জাতি আশা করে ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনে শহীদ হওয়া নূর হোসেন ও ডাঃ মিলনের রক্ত বৃথা যেতে না দিলে আমাদের সঠিক গনতন্ত্র চর্চা করতে হবে। রাষ্ট্রের মালিক জনগনকে স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে সঠিক ফলাফলের ভিত্তিতে সরকার গঠন করতে হবে। তবেই স্বৈরাচার শব্দটির যথার্থতা প্রমান হবে।

ড.   এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামাবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *