পুলিশ মারুফ জামানের সন্ধান না পেলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে। তিনি সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা।
পারিবারিক সূত্র বলেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বেলজিয়াম থেকে আসা মেয়েকে আনতে নিজে গাড়ি চালিয়ে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন মারুফ জামান। রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি ফোন করে গৃহকর্মীকে বলেন, বাসায় কেউ গেলে তাঁকে যেন কম্পিউটার দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত আটটার দিকে সুঠামদেহী তিন ব্যক্তি বাসায় এসে তাঁর ল্যাপটপ, কম্পিউটারের সিপিইউ, একটি মুঠোফোন ও একটি ক্যামেরা নিয়ে যান। এ সময় বাসায় তল্লাশিও করেন তাঁরা।
মারুফ জামানের ছোট ভাই রিফাত জামান গতকাল রাতে বলেন, তাঁর বড় ভাই এবং তিনি ধানমন্ডি ৯/এ নম্বর সড়কের একই ভবনের পৃথক ফ্ল্যাটে থাকেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাইয়ের বাসার গৃহকর্মী তাঁকে জানান, মারুফ জামান তখন পর্যন্ত বিমানবন্দরে যাননি। বিদেশ থেকে আসা মেয়ে বিমানবন্দরে বসে আছেন। এরপর থেকে ভাইয়ের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি দ্রুত বিমানবন্দরে গিয়ে ভাতিজিকে নিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি মনে করেছিলেন, শারীরিকভাবে দুর্বল তাঁর ভাই হয়তো কোনো দুর্ঘটনায় পড়েছেন। রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ও স্বজনদের বাসায় খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পাননি।
রিফাত জামান বলেন, গতকাল দুপুরের পর তাঁর ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ধানমন্ডি থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশ তাঁর ভাইয়ের গাড়িটি খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সড়কের পাশ থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। ভাই কীভাবে নিখোঁজ হলেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক তারিকুল আনোয়ার গত রাতে বলেন, গাড়িটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেলেও এখনো মারুফ জামানের সন্ধান মেলেনি। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মারুফ জামানের সর্বশেষ অবস্থান দক্ষিণখানে ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত এ নিয়ে ১৩ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। এর মধ্য চারজনের খোঁজ মিলেছে। অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি।