ইরাকের সামরিক বাহিনীতে ৫০ হাজার ভৌতিক সেনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র রাফিদ জাবুরি গণমাধ্যমকে এ খবর দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে পরিচালিত সাম্প্রতিক তদন্তে ধরা পড়েছে যে, দেশের সেনাবাহিনীতে ৫০ হাজার কল্পিত নাম রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রধানমন্ত্রী আবাদি এসব ভুয়া সেনাকে চিহ্নিত করা ও সমস্যার মূল খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন।
ইরাকি সেনাদের বেতন দেয়ার সময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মাথা গণনা করে এসব ভুয়া সেনার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, হায়দার আল-আবাদির এ ধরনের কর্মদক্ষতা দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নেতৃত্ব ও সমন্বয় গড়ে তুলতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
ধারণা করা হচ্ছে- কল্পিত এসব সেনার নাম দিয়ে ইরাকি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বাড়তি আয় করতেন। এছাড়া, দেশটির অস্থিতিশীলতা ও নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ‘ভুয়া সেনা’র বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইরাকি সেনাবাহিনীতে দু ধরনের ভৌতিক সেনার অস্তিত্ব রয়েছে। প্রথমত প্রত্যেক কর্মকর্তা পাঁচজন দেহরক্ষী রাখতে পারেন। এর মধ্যে ওই কর্মকর্তা দু জনকে রেখে বাকি তিনজনকে বাড়ি পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তা তিনজনের পুরো বেতন নিজেই পকেটস্থ করতে পারেন অথবা সমঝোতার মাধ্যমে একটা অংশ নিতে পারেন।
দ্বিতীয়ত এবং সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছে ব্রিগেড লেভেলে। একজন ব্রিগেড কমান্ডার প্রতি ব্রিগেডে ৩০, ৪০ অথবা তারও বেশি সেনাকে বাড়ি পাঠিয়েছেন অথবা তাদের অস্তিত্বই নেই। এ ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা রয়েছে তা হলো- এই ব্রিগেড কমান্ডারের চাকরি রক্ষার জন্য তার সিনিয়র কর্মকর্তাকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ দিতে হয়।
এ প্রসঙ্গে ইরাকের সাবেক সংসদ সদস্য উসমান আল-খালিদি বলেন, ইরাকি সেনাবাহিনীতে শতকরা ৩০ ভাগেরও বেশি কল্পিত সেনা।
সূত্র : আইআরআইবি